ঢাকা: এবার জঙ্গি প্রতিরোধে রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে বিশেষ তল্লাশি অভিযান। এ অভিযানে বাদ যাবে না কেউ। সে হোক এমপি-মন্ত্রী ও কূটনীতিক কিংবা দাতা সংস্থার গাড়ি।
প্রতিটি চেকপোস্ট পয়েন্টে থাকবে যৌথবাহিনীর তদারকি। আর এসব বিষয়ে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার একজন উচ্চ কর্মকর্তা। সরকার প্রধানের নির্দেশে এ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দাকে ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে রাজধানীর সর্বত্র সিসিটিভির আওতায় আনার কাজ চলছে। নিদ্রি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বসানো হবে আধুনিক সব যন্ত্র পাতি।
এখন পর্যন্ত নিখোঁজ সন্দেহভাজন জঙ্গি ও জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা ও এর বিচার প্রক্রিয়ার হালনাগাদ বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করবে এ কমিটি। কমিটিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও পুলিশের একজন করে এসপি র্যাংকের প্রতিনিধি থাকবে।
এছাড়া পুলিশের নবগঠিত কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের একজন কর্মকর্তাকেও এ কমিটিতে রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে রাজধানীর চেকপোস্টগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন, এসপিবিএন ও আনসারের চৌকস সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এসব চেকপোস্টে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক শনাক্ত করতে মেটাল ডিটেক্টর ছাড়াও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানো হবে। থাকবে উচ্চ প্রযুক্তির কম্পিউটারাইজড ভেহিক্যাল মিরর ও বডি স্ক্যানার। এতদিন হলুদ প্লেটে নম্বরযুক্ত কূটনীতিক এবং বিভিন্ন দাতা ও সাহায্য সংস্থার গাড়ি তল্লশি করা না হলেও এখন থেকে করা হবে। কেননা জঙ্গি সন্ত্রাসীরা হলুদ প্লেটে ভুয়া নম্বর ব্যবহার করে অস্ত্র-বিস্ফোরক বহন করার ঝুঁকি নিতে পারে। গুলশান হামলায় প্রাথমিকভাবে এ রকম প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এমপি-মন্ত্রীসহ সব পর্যায়ের ভিআইপিদের যানবাহনও বিশেষ ব্যবস্থায় তল্লাশি করা হবে।
সূত্র আরও জানায়, জঙ্গি দমন ইস্যুতে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলকে আরও সক্রিয় করা হচ্ছে। জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে দেশের কোথাও কেউ গ্রেফতার হলে তাকে টিএফআই সেলের মুখোমুখী করা হবে। যাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পান সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদেশি কোনো তদন্ত সংস্থার সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হলে তাও নেওয়া হবে।ন
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নব গঠিত কমিটিতে প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গঠিত এ কমিটি রাত-দিন কাজ করছে। ইনহাউস বৈঠক ছাড়াও সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছে এ কমিটি।