ইসলাম ডেস্ক : অনেকে শুধু এশার নামাজ পড়াকে যথেষ্ট মনে করে। তারাবী না পড়লে কোনো সমস্যা নেই। মূলত তারাবীহ নামায পড়া সুন্নতে মুআক্কাদা। উজর ছাড়া না পড়লে সুন্নতে মুআক্কাদা তরক করার গোনাহ হবে। লাগাতার ছেড়ে দেয়া কবীরা গোনাহের শামিল। রদ্দুল মুহতার ২/৪৯৫
তাছাড়া তারাবীর নামাজ জামাতে পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। যে ব্যক্তি পরে যোগ দেয়ার কারণে কিছু তারাবীহ রয়ে গেছে তিনি ইমামের সাথে বিতর পরে নিবেন, অতপর অবশিষ্ট তারাবির নামাজ আদায় করবেন।
অনেক ক্ষেত্রে দেয়া যায়, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে হাফেজ হোক বা না হোক ইমাম বানানো হয়। এটা ঠিক নয়। বালেগ ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করতে হবে। যে তারাবি পড়াবে তার নিকট থেকে আয়াতের অর্থ কিংবা সারসংক্ষেপ জেনে নেওয়া ভাল। যখন থেকে সাহাবিরা এই পড়া শুরু করেন তখন থেকে তারা দুই সালামের পর অর্থাৎ চার রাকাত নামাজের পর বিশ্রাম নিতেন। তাই এই নামাজের নাম তারাবি নামাজ করা হয়েছে। (ফতহুল বারী)