নারায়ণগঞ্জের যে বাসায় জঙ্গি নেতা তামিম চৌধুরী তার দুই সহযোগী থাকতেন ওই বাসার কাজের বুয়া বলেন, বাসায় তিনজন থাকতেন। মাঝে-মাঝে কয়েকজন যুবক আসা-যাওয়া করতেন।তবে বাসা থেকে খুব একটা বের হতেন না।
এদিকে শহরের পাইকপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ১ মাস ২২ দিন তিন জঙ্গি থাকলেও কখনো তাদের দেখেনি এলাকাবাসী।
জঙ্গিরা বাসা থেকে কম বের হতেন। অধিকাংশ সময় বাসায় থাকতেন। অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭ শেষে এলাকাবাসী ও তাদের কাজের বুয়ার সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।
এলাকাবাসী আমির হোসেন মিয়া বলেন, তারা (জঙ্গিরা) প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হতেন না। কাজের বুয়া তাদের বাজার করতেন। মাঝে-মধ্যে যখন বাসা থেকে বের হতেন, কিন্তু কারো সঙ্গে কথা বলতেন না।
তিনি বলেন, ‘বাড়ির সামনে আমার মুদি দোকান আছে। তাদের সপ্তাহে দু-একদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হতে দেখেছি। তবে কখন বাসায় ফিরতেন তা দেখেনি।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, গত ৫ জুলাই বাসাটি ভাড়া নেয় জঙ্গিরা। এরপর থেকে এখানে থাকতেন জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা। তবে তাদের বিষয়ে কিছু জানত না এলাকাবাসী। গত ২ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক পলাতক তামিম চৌধুরী ও মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হকের যে কাউকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার দেওয়ান বাড়িতে পুলিশের বিশেষ ইউনিট অভিযান শুরু করে। মূল অভিযান চালানো হয় সকালে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি ছুড়লে গুলশানের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত তামিমসহ তিন জঙ্গি নিহত হন।