সারা বছরজেড়েই পর্যটকে ভরপুর থাকে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে। তাদের নিরাপত্তার রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আছে সিসিটিভি’র নজরদারি। আছে সার্বক্ষণিক টহল।
তবে বিষয়টি এমন নয় যে, সব পর্যটকের পেছনে একজন করে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তায় আছে। বরং সৈকতে কিছুদূর পর পর ট্যুরিষ্ট পুলিশ অবস্থান করেন।
এর পাশাপাশি একজন অফিসার কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুরো সৈকত টহলে থাকেন। কিন্তু গেল তিন দিন এই নিয়মের ব্যতিক্রম কিছু দেখা মিলছে সমুদ্র সৈকতে।
এক তরুণীকে পাহারা দিচ্ছেন সশস্ত্র তিন পুলিশ সদস্য। অন্যভাবে বললে, তিন সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে কক্সবাজারে সৈকতে ঘুরছেন এক তরুণী। যা চাঞ্চল্য তৈরি করে গোটা শহরে।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অথবা রাত দশটার পর কক্সবাজার সৈকতে দেখা মিলছে তিন পুলিশ সদস্য, যারা এক তরুণীর সামনে-পেছনে পাহারায় থাকছেন।
দেখা যায়, তরুণী লাবণী সৈকতে কিটকটে বসে আছেন, দাঁডিয়ে থেকে তিন পুলিশ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। কিটকটে শুয়ে আছেন তখনো আশপাশে তিন পুলিশের সতর্ক অবস্থান।
মাঝে মধ্যে লাবণী পয়েন্টের একটি রেস্তোরায় যাচ্ছেন তরুণী, তখনো সাথে সাথে তিন পুলিশ সদস্য আঁঠার মতো লেগেই আছেন।
তিন দিন ধরে কক্সবাজারের ওই তরুণীর এমন সরব উপস্থিতি সবার মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি করছে। তবে প্রশাসন থেকে জেলা পুলিশ কেউ এই তরুণীর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
তরুণীর প্রটোকলে থাকা একজনের সাথে একাত্তরের এই প্রতিবেদকের কথা হয় সৈকতে। তিনি শুধু এতোটুকু বললেন, ডিআইজি স্যারের মেয়ে। এর চেয়ে বেশি কিছু উচ্চারণ করলেন না।
ট্যূরিস্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চট্টগ্রাম পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের কন্যার নিরাপত্তা দিতেই তিন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।
এই কথার সত্যতা জানবার জন্য একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে না চাইলেও, কয়েকজন পুলিশ কর্তা নিশ্চিত করেন, তিনি চট্টগ্রাম ডিআইজির মেয়ে। পুলিশ অফিসার্স বাংলো কক্সবাজারে উঠেছেন ডিআইজি কন্যা।
ঠিক কি কারণে বা কোন নিরাপত্তা হুমকির কারণে একজন ডিআইজি কন্যাকে এ ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি কোন পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গেল ২১ আগস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সড়কপথে যাচ্ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া। পথে মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েন তিনি।
কিন্তু ওই সময় সেখানে মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাসিম কিংবা পুলিশের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই মুরাদনগর থানা থেকে ওসি আবুল হাসিমকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করা হয়।।
সুত্র: একাত্তর টিভি