লাইফস্টাইল ডেস্ক: তোমার নামের রোদ্দুরে আমি ডুবেছি সমুদ্দুরে ... জানি না যাব কতদুরে এখনও... আমার পোড়া কপালে আর আমার সন্ধ্যে সকালে তুমি কেন এলে জানি না এখনও... ফন্দি আটে মন পালাবার বন্দি আছে কাছে সে তোমার যদি সত্যি জানতে চাও ... তোমাকে চাই, বিন্দু থেকে সিন্ধু হয়ে যাও তুমি ইচ্ছেমত আমাকে সাজাও ... যদি সত্যি জানতে চাও তোমাকে চাই ... মনের গভীরে ঘুমের শরীরে তোমাকে নিয়ে ডুবে যাবো আমার কাছে কারনেরা আছে নিজেকে আমি খুঁজেই নেব ... এভাবেই যদি কেটে যায় প্রিয়জনের সঙ্গ কেমন হয়!
প্রেম নিবেদনকে তৃপ্তিদায়ক ও সর্বাধিক উপভোগ্য করতে হলে আবেগের প্রদর্শন ও সুযোগের সদ্ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. কেলি তার গবেষণায় বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা অর্পণ সফল করতে হলে সময়জ্ঞানটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
গবেষক জানান, মানবদেহ পরিচালিত হয় `সার্কাডিয়ান রিদম` দ্বারা। সূর্যের আলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে আমাদের দেহ এই ছন্দ মেনে চলে। ঘুম ও যৌনতার সঠিক সময় বের করতে পারলে উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক তৃপ্তি মিলতে পারে। বয়সের সঙ্গেও সার্কাডিয়ান রিদম বদলাতে থাকে। এসব বিষয়ের সঠিক সমন্বয় করতে হয়। বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, বয়সের সঙ্গে প্রেম নিবেদনের সঠিক সময়ের কথা।
১. বিশের কোঠায় যাদের বয়স, দিনের যেকোনো সময় তাদের দেহ যৌন চাহিদা অনুভব করতে পারে। ড. কেলি বলেন, এ বয়সীরা যেকোনো সময় সঙ্গী-সঙ্গিনীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ হতে পারেন। এ বয়সীরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘুম থেকে উঠা এবং রাত ১টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ায় সর্বাধিক উপকার পাবেন।
২. তিরিশের কোঠা প্রেম ও সেক্স করার স্বর্ণসময়। সূর্যের আলো দেহে টেসস্টোটেরন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। এ বয়সীদের দেহঘড়ি তাদের সকালে জাগিয়ে তোলে। তাদের রাত ৮টার দিকে ডিনার সেরে ফেলা ভালো। মধ্যরাত তাদের বিছানায় যাওয়ার সেরা সময়।
৩. চল্লিশের কোঠায় যারা আছেন, তাদের জন্য প্রেম নিবেদনের সেরা সময় রাত ১০টা ২০ মিনিট। গোটা দিন পেরিয়ে এ সময়টাতেই দেহে সর্বাধিক পরিমাণ অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে দেহ অনেক শান্ত ও স্থিত হয়ে আসে। মধ্যরাতের আগেই তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে পারে। ঘুম থেকে ওঠার আদর্শ সময় হবে সকাল ৭টা ৫০ মিনিট।
৪. পঞ্চাশের কোঠায় বিকেলেই সেক্স সবচেয়ে উপভোগ্য হতে পারে। সকালের ব্যস্ত সময় শুরু হওয়ার জন্য এ বয়সীদের রাত সাড়ে ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত।
৫. ষাট বছরে যারা পা রেখেছেন তাদের জন্য রাত ৮টা উত্তেজনাকর মুহূর্ত হতে পারে। এ বয়সে রাত ১০টার দিকে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এটি ঘুমকে গভীর করে। তাই তাদের সাড়ে ৬টার দিকে ডিনারের কাজ সেরে ফেলা উত্তম।
৬. সত্তর বছর বয়সে সেক্স মানুষকে তৃপ্তিদায়ক ঘুম ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে পারে। এ বয়সীরা ঘুমের মাঝে বার বার জেগে যেতে পারেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিছানায় গা এলিয়ে দিতে হবে। এদের সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাস্তা করা উচিত। দুপুর শুরু হতেই লাঞ্চ করাটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।