ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারে ঘুম ও ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। এতে অনেক ক্ষতি হয় ত্বকের। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে ত্বকের ক্ষতি করছে ফোনঃ
ঘুমে ব্যাঘাত: কতটা ঘুম পেয়েছে বা কতটা ক্লান্ত তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল রাতে মোবাইলে তাকিয়ে থাকা। ফোনের আলোর প্রভাব দীর্ঘক্ষণ থেকে যায়। যে কারণে মোবাইল রেখে দেওয়ার পরও ঘুম আসে না। কম ঘুমালে ত্বক আর্দ্রতা হারায়, পানি শূন্য ত্বক সব সময়ই নির্জীব দেখায়।
আসক্তি থেকে মানসিক চাপ: ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারছেন না, মানে আপনি ফোনে আসক্ত। ফোন ছাড়া থাকাকে ভয় পাওয়া, বার বার নোটিফিকেশন দেখা ইত্যাদি লক্ষণকে ‘নোমোফোবিয়া’ বলে। মোবাইলে চার্জ বা ইন্টারনেট কানেকশন না থাকা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা মানসিক চাপ বাড়ায়। এসব চাপ ত্বকের ক্ষতি করে। ফোন থেকে সৃষ্টি হওয়া তাপ ত্বকে কালো দাগ এবং কালচেভাব ফেলে।
চোখের ক্ষতি: খেয়াল করে দেখেছেন কি, ফোনে কাজ করার সময় চোখ মুখ খানিকটা কুচকে তাকান। এর কারণে চোখের চারপাশে ভাঁজের সৃষ্টি হয়। মোবাইলের পর্দা ছোট হওয়ায় তার প্রতি মনযোগ দিয়ে তাকাতে হয়। ফলে চেহারায় অল্প বয়সেই বয়সের ছাপ পড়ে। চোখের চারপাশে বলিরেখা দেখা দেয়।
সব সময় ক্লান্ত থাকা: দীর্ঘক্ষণ ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে ক্লান্তিভাব আসে। যা শরীরে প্রভাব ফেলে। মোবাইলে গেইম বা ভাইরাল ভিডিও যেটাই হোক না কেনো তা ত্বককে নির্জীব ও মলিন করে তোলে।
গলায় ভাঁজের সৃষ্টি: মোবাইল দেখার জন্য বার বার স্ক্রিনের দিকে তাকাতে মুখ নিচু করা লাগে। ফলে গলার উপর চাপ পড়ে। এতে এখানকার ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়। এই সমস্যা এড়াতে সবসময় মোবাইল চোখের সমান্তরালে সোজা করে ধরে ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে। আর ত্বকের জন্য মানানসই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ব্রণ সমস্যা: মোবাইল ফোন ব্যাকটেরিয়ার বাসা। সারা দিনের সকল ময়লা এতে জমা থাকে। প্রতিবার ফোনে কথা বলার সময় ত্বকে সেসব ময়লা লাগে এবং ত্বকের ক্ষতি হয়। যেমন- গুরুতর ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়।