ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের মধ্যে দিয়ে যে ত্রিদেশীয় হাইওয়ের পরিকল্পনা চলছে, মিয়ানমার সম্মতি দিলেই বিমসটেকের মাধ্যমে বাংলাদেশও তাতে যুক্ত হবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বৈঠকে থাই বিনিয়োগ, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতা ও কানেকটিভিটি ইস্যুতে ত্রিদেশীয় মহাসড়কে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয় ঢাকা। একই সঙ্গে ঢাকা-ব্যাংককের মধ্যে কোস্টাল শিপিং চালুর বিষয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। থাইল্যান্ডের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পারমানেন্ট সেক্রেটারি সারুন চারোয়েনসুওয়ান।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমার-ভারত-থাইল্যান্ড কানেকটিভিটি প্রকল্পে বাংলাদেশ যুক্ত হতে চায়। আমরা ভারতের সঙ্গে আলাপ করেছি, থাইল্যান্ডের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাদের কোনও সমস্যা নেই। এ ছাড়া বিমসটেকের অধীনেও কানেকটিভিটি হতে পারে। তবে শুধু রোড কানেকটিভিটি নয়, আমরা আকাশ ও সমুদ্র কানেকটিভিটিও চাই।’
পররাষ্ট্রসচিব জানান, বর্তমানে ঢাকা-ব্যাংককে সপ্তাহে ৩৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি চাহিদা থাকলে আরও বেশি ফ্লাইট চালু করা হবে। বিমান যোগাযোগ আরও বাড়াতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত রয়েছে। এটি সম্পন্ন করা গেলে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আরও সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে উল্লেখ করেন সচিব।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমানে ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য নিকট ভবিষ্যতে ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে, যদি আমাদের ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য বৃদ্ধি পায়। অনেক সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা চলছে এবং আমরা সেগুলো দ্রুত শেষ করতে চাই জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘বিমসটেকের বর্তমান চেয়ার হচ্ছে থাইল্যান্ড এবং খুব শিগগিরই তারা শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে। ওই জোট এবং দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থায় আমরা দ্রুততার সঙ্গে এগোতে চাই।’
এ সময় থাইল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নতি দ্রুত হচ্ছে এবং আগামীতে তারা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে। আমার সঙ্গে একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল এসেছে—বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করব।’