চীনের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) চীনের কুনমিংয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বর্ষার আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নিতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন কিছুটা নিঃশব্দে কুনমিংয়ে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে দুই বছর ধরে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে পাঠানোর জন্য একটি তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ হচ্ছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার পরিদর্শন করেছে এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেছে। এছাড়া গত মার্চে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ১১টি দেশের কূটনীতিককে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা বিভিন্ন কাঠামো ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
জানা যায়, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হলে বর্ষার আগে প্রত্যাবাসনের প্রথম ধাপ শুরু করা সম্ভব হবে। প্রথম ধাপে অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত কারণে সংখ্যাটি কম হবে। প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন জটিলতা আছে এবং কম সংখ্যক রোহিঙ্গা পাঠিয়ে সেগুলো চিহ্নিত করাই প্রাথমিক উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সবসময় আশাবাদী তাদের আমরা ফেরত পাঠাতে পারবো।
প্রত্যাবাসনের জন্য চীনসহ আরও অনেকে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি অবশ্যই বলবো তারা খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে।
এ সময় প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি বলতে পারবো না। না শুরু হওয়া পর্যন্ত এটি বলা যাবে না। এর আগে দুইবার আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্তু করা সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত