থাইল্যান্ডে ১৯ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। আটককৃতরা সবাই অবৈধ অভিবাসী। এসময় চার থাই নাগরিককেও আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সোংখলা প্রদেশ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত এসব বাংলাদেশি মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। শুক্রবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় সোংখলা প্রদেশের ব্যাং ক্লাম জেলায় পাঁচটি গাড়ি আটকানোর পর চার থাই নাগরিক এবং ১৯ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
ব্যাংকক পোস্ট বলছে, থাইল্যান্ডের সামুত প্রাকান প্রদেশ থেকে সোংখলা প্রদেশ হয়ে একদল অবৈধ অভিবাসীকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে গোপন গোয়েন্দা তথ্য পায় পুলিশ। আর এই তথ্যের ভিত্তিতেই ব্যাং ক্লাম জেলায় পুলিশ পাঁচটি গাড়ি আটকায় এবং ১৯ বাংলাদেশিসহ ২৩ জনকে আটক করে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশি অভিবাসীদের পাঁচটি গাড়িকে ধাওয়া করে এবং রাত্তাফুম ও ব্যাং ক্লাম জেলার মধ্যবর্তী এশিয়ান হাইওয়ের একটি স্থানে তাদের থামাতে সক্ষম হয়।
আটককৃত থাই নাগরিকদের চারজনই গাড়ি চালক। তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ। তবে গাড়িচালক পঞ্চম ব্যক্তি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এছাড়া ওই পাঁচটি গাড়িতে বাংলাদেশ থেকে আসা ১৯ জন অভিবাসীকে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ওই চার চালক জানিয়েছে, থাই মুদ্রায় মাথাপিছু ২৫০০ বাথে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সামুত প্রাকান থেকে সোংখলা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য সোমচাই নামক এক ব্যক্তি তাদেরকে ভাড়া করেছিল।
অন্যদিকে আটককৃত বাংলাদেশি অভিবাসীরা বলেছেন, তারা প্রথমে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে কম্বোডিয়ায় পৌঁছান এবং সেখান থেকে বুধবার সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেন। পরে তাদেরকে সামুত প্রাকানে নিয়ে যাওয়া হয়।
মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দালালরা তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই বাংলাদেশিরা। ব্যাংকক পোস্ট বলছে, আটককৃত থাই গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশকারী বিদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আটককৃত ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাং ক্লাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।