বলিউডে #মি টু নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী নীহারিকা সিংহ। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, সাজিদ খান এবং একটি মিউজিক সংস্থার কর্তা ভূষণ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি।
তার লেখা গত শনিবার টুইটারে শেয়ার করেছেন সাংবাদিক সন্ধ্যা মেনন। তবে অভিযুক্ত ওই তিন জনের কেউই এখন পর্যন্ত কোনও জবাব দেননি।
নীহারিকা জানিয়েছেন, নিগ্রহ বলতে ঠিক কী বোঝায়, কাকে শাস্তি দেওয়া দরকার, কাকে ক্ষমা করা যায়, এ বিষয়গুলো ভাল করে বুঝে নিতেই নিজের অভিজ্ঞতা লিখলেন তিনি।
‘মিস লাভলি’ ছবির অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার পর রাজ কানওয়ার তাকে একটি ছবিতে সুযোগ দিতে চান।
কিন্তু ভূষণ কুমার কানওয়ারকে জানান, ওই ছবি থেকে নীহারিকাকে ছেড়ে দেওয়া হোক, কারণ তিনি একটি ছবিতে তাকে নিতে চান। নীহারিকাকে নিজের অফিসে ডেকেও পাঠান তিনি। একটি খামে দু’টি ৫০০ টাকার নোট দেওয়া হয় নীহারিকাকে।
অভিনেত্রীর অভিযোগ, ওই রাতে ভূষণের টেক্সট মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল, ‘তোমাকে আরও গভীর ভাবে জানতে চাই। আমরা কি দেখা করতে পারি?’ নীহারিকা জবাব দেন, ‘অবশ্যই। ডাবল ডেট হোক। আপনি স্ত্রীকে নিয়ে আসুন, আর আমি বয়ফ্রেন্ডকে।’ তার পরে আর কোনও দিন মেসেজ পাঠাননি ভূষণ।
২০০৯ সালে নওয়াজউদ্দিনের সঙ্গে ‘মিস লাভলি’ ছবিটি করেন নীহারিকা। তিনি খোলাখুলিই জানিয়েছেন, নওয়াজউদ্দিনকে প্রথম থেকেই তার ভাল লেগেছিল। ঘনিষ্ঠতাও হয়। পরে একদিন বাড়িতে প্রাতরাশে নওয়াজউদ্দিনকে ডাকেন তিনি।
নীহারিকার অভিযোগ, দরজা খুলতেই নওয়াজউদ্দিন তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি নওয়াজকে ঠেলে সরিয়ে দেন, তবে প্রাথমিক ধস্তাধস্তির পর আত্মসমর্পণ করেন। নীহারিকা লিখেছেন, নওয়াজ জানিয়েছিলেন, একজন অভিনেত্রী বা ভারত-সুন্দরীকে স্ত্রী হিসেবে পেতে চান তিনি। পরে নওয়াজের ‘মিথ্যা কথন’ সহ্য করতে না পেরে সম্পর্ক থেকে সরে আসেনি তিনি।
নীহারিকার দাবি, নওয়াজ জাতপাতে বিশ্বাসী এবং অবদমিত যৌনাকাঙ্ক্ষার এক ভারতীয় পুরুষ।
২০১২ সালে কান ফিল্মোৎসবে ‘মিস লাভলি’ প্রদর্শনের সময় আবার দেখা হলে যৌন সম্পর্কের জন্য তার কাছে অনুনয়-বিনয় করেন নওয়াজ।
পরিচালক সাজিদ খানের প্রসঙ্গ দিয়ে লেখা শেষ করেছেন নীহারিকা। অভিযোগ করেছেন, একটি রেস্তরাঁ উদ্বোধনের সময় সাজিদ নিজের তৎকালীন বান্ধবী সম্পর্কেও কটু মন্তব্য করেছিলেন আর তার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘এ তো কিছু দিনের মধ্যেই আত্মহত্যা করবে।’ সূত্র: আনন্দবাজার
পাঠকের মতামত