বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী আঁচল সাহার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার রাতে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার একটি মহিলা হোস্টেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আঁচল সাহা ঢাকা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ঝিকিড়া গ্রামের দীপক কুমার সাহার মেয়ে।
সোমবার রাতে ভাটারা থানার এসআই রিয়াদ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, খবর পেয়ে রাতে বাসার দরজা ভেঙে ওই তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি।
পরিবারের বরাতে তিনি বলেন, আঁচল আইফোন ব্যবহার করতেন। সেটি হারিয়ে যাওয়ায় নতুন একটি আইফোনের জন্য মায়ের কাছে বায়না ধরেন। তার বাবা নেই। মোবাইল কিনে দিতে একটু সময় চেয়েছিলেন তার মা। এরপরও মোবাইল কিনে দিতে তার মাকে চাপ দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন আঁচলের মা নীলা সাহা।
আঁচল সাহার মামা পলাশ সাহা বলেন, আঁচল প্রায় তিন বছর ধরে ঢাকায় একটি মহিলা মেসে থেকে পড়ালেখা করত। রোববার রাত ১০টার দিকে তার এক সহপাঠী আমাদের ফোন করে জানান আঁচল খুব অসুস্থ। পরে পরিবারের লোকজন নিয়ে আমরা রাতেই ঢাকায় যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি আঁচল আত্মহত্যা করেছে।
আঁচল সাহা একজন ভালো সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পী ছিলেন। তিনি ভালো কবিতা আবৃত্তি করতেন। উল্লাপাড়াসহ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আঁচল নাচগান পরিবেশন করতেন। শিশুবেলায় তিনি উল্লাপাড়ার কচিকাঁচার মেলা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন স্থানে সঙ্গীত ও নাচ পরিবেশন করে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আঁচল নাচগান করতেন।