বিশেষ প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্সবাজার ক্যাম্পাস সংলগ্ন দরিয়ানগর বড়ছড়া গ্রামে গত ৩দিন ধরে চলছে ডাকাত আতংক। রবিবার সন্ধ্যায় এলাকায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা এবং সোমবার মধ্যরাতে ডাকাত দল হানা দিলে মসজিদে মাইকিং করা হয়। এরপর এলাকাবাসী সংগঠিত হয়ে ধাওয়া করে ডাকাতদলকে। এ আতংকে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসী। গ্রামে বিরাজ করছে চাপা আতংক। বিশেষ করে এলাকার চিহ্নিত ডাকাত দল আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় ডাকাতির আশংকা আরো জোরদার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস পলাতক থাকার পর ঈদ উপলক্ষে এলাকায় ফিরে এসেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। আবার রবিবার বিকাল থেকে এসব সন্ত্রাসী একযোগে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর এক অজ্ঞাত সন্ত্রাসী রবিবার সন্ধ্যায় বড়ছড়া গ্রামে ঢুকে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী, গ্রামের এক মুরুব্বী ও অপর এক সাংবাদিকের বাসা রেকি করে যায়। এসময় এক যুবকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তার ছবি তুলে রাখে গ্রামের এক বাসিন্দা। তবে তার পরিচয় এখনও উদ্ধার করা যায়নি। স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে উক্ত যুবকের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে এলাকাবাসী। অজ্ঞাত যুবকটির কোমরে অস্ত্র থাকায় লোকজন তাকে আটকাতে সাহস করেনি। তবে গ্রামের এক বাসিন্দা দূর থেকে তার ছবি তুলে রাখে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়। পরদিন সোমবার রাত ১১টার দিকে ৫০/৬০ জনের একদল ডাকাত ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খালেকের পাহাড়ের বাসিন্দা মফিজুর রহমানের বসত ঘরে হানা দেয়। এরপরই মসজিদে মাইকিং করা হলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া দেয়। এসময় ডাকাত দল কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলী বর্ষণ করে গভীর জঙ্গলের দিকে চলে যায়।
ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও খালেকের পাহাড়ের বাসিন্দা ইমাম হোসেন জানান- সোমবার সন্ধ্যায় কাঠুরিয়ারা বন থেকে ফেরার পথে ৫০/৬০ জনের অপরিচিত একদল লোককে দেখতে পায়। এরআগের দিন সন।ধ্যায় এক অপরিচিত যুবক এসে কয়েকটি বাড়ী রেকি করে যায়। এরপর থেকেই গ্রামবাসী ডাকাত আতংকে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে।
কক্সবাজার সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বখতিয়ারউদ্দিন চৌধুরী জানান- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এরআগেই ধাওয়া খেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।