সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ তার দল জাতীয় পার্টির নেতাদের নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। রওশন বলেন, দলের কে কী করছেন থাইল্যান্ডে হাসপাতালের বেডে শুয়ে সব খবর নিয়েছি। কিন্তু আমার খবর কেউ নেয়নি। অথচ যাদের দল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, তারাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। মসজিদ, মাজারসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
শনিবার (২ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর দলটিও এলোমেলো হয়ে পড়েছে। কিন্তু পার্টিকে শক্তিশালী করা না গেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকা যাবে না। বিএনপি আছে, জামায়াত আছে, এটা মনে রাখতে হবে। দলকে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমকক্ষ করতে না পারলে রাজনীতিতে টিকে থাকা যাবে না।
তিনি বলেন, আবারও চেকআপ শেষে দেশে ফিরে পার্টিকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনে নিজেকে সম্পৃক্ত করবো। যা যা করার দরকার তাই করা হবে। এরশাদ সাহেব তিলে তিলে এই দলটা গড়েছেন। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপার সাবেক এমপি নূরুল ইসলাম মিলন, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ, জাপার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজু, বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ ও প্রেসিডয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এখন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদে আছেন। দলটির চেয়ারম্যানের পদে আছেন জি এম কাদের, তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা। তিন বছর আগে এরশাদের মৃত্যুর পর দলে কর্তৃত্ব নিয়ে দেবর-ভাবির বিরোধ দেখা দিয়েছিল। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয়।
রওশন এরশাদ গত বছরের ৫ নভেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান। দেশটির রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষে তিনি আগামী সোমবার (৪ জুলাই) রুটিন চেকআপের জন্য ফের ব্যাংকক যাবেন