আ.লীগ সরকারের অধীনে ধারাবাহিকভাবে সকল নির্বাচন বর্জন করে আসছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তারেই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির পক্ষ থেকে এবারের আসন্ন চলমান উপজেলা নির্বাচন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে, দলটির নীতিগত এই সিদ্ধান্তটি মানছেন না তৃণমূলের অনেক নেতা নেত্রী। তারা দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
এদিকে দলের এই সীদ্ধান্তকে অমান্য করে যে সমস্ত নেতা নেত্রীরা চলমান উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন এমন ৭৩ জন নেতা নেত্রীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
দেশের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজারের টেকনাফে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট ৯ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়ন ফরম জমা করেছেন।
এর মধ্যে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে দুই জন টেকনাফ উপজেলা মহিলা দলের নেত্রী। একজন হচ্ছে উক্ত সংগঠনের সভাপতি তাহেরা আক্তার মিলি, অন্যজন হচ্ছে একই সংগঠনের সহ-সভাপতি মর্জিনা আক্তার মদিনা।
দলের নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এই দুই নেত্রীকে নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সংসদীয় আসনের বিএনপি নেতা কর্মিদের মাঝে চলছে তীব্র সমালোচনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, দলের সীদ্ধান্তকে সন্মান জানিয়ে তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি তারা পাতানো নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ধার্য্য তারিখের মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে তাদেরকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা মোতাবেক দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, দলীয় সীদ্ধান্তকে সন্মান জানিয়ে ডামী আ.মী সরকারের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দেশে অনুষ্ঠিত হওয়া সকল নির্বাচন বর্জন করে আসছে। তারেই ধারাবাহিকতায় দেশে চলমান উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করার সীদ্ধান্ত হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। দলের সীদ্ধান্তকে অমান্য করে আগামী ২৯ এপ্রিল আসন্ন উপজেলা নির্বাচন টেকনাফ মহিলা দলের দুই জন নেত্রী উক্ত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। এই পাতানো নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য তাদেরকে প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঠিক সময়ের মধ্যে যদি তারা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে না নেয়। দলের সদস্য পদ বাতিল করার পাশাপাশি তাদেরকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার সীদ্ধান্ত চুড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য- গত ১৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছিলো, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যে সমস্ত নেতারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে দল থেকে আজিবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
তারেই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ এপ্রিল দলের সীদ্ধান্তকে অমান্য করে চলমান উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি'র ৭৩ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।