ইদানীং দাড়ি রাখতে দেখা যায় অনেককেই। সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে তারকাদেরও মুখভর্তি দাড়ি চোখে পড়ে। দাড়িতে পুরুষকে সুদর্শন দেখা যায়, এমন মত অনেকেরই। তবে সৌন্দর্য কিংবা ফ্যাশন এসবের বাইরেও দাড়ির রয়েছে নানা উপকারী দিক। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য দাড়ি রাখা উপকারী। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞেরাও এই তত্ত্বে একমত। আসুন জেনে নেওয়া যাক দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যকর দিকগুলো—
* শেভিং র্যাশ থেকে মুক্তি:
অনেকের ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। আর বারবার শেভ করলে তাদের ত্বকে শেভিং র্যাশের সৃষ্টি হয়। দাড়ি রাখার অভ্যাস এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
* অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে:
পুরুষদের মধ্যে যাদের ধুলো-ময়লা এবং রোদে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য দাড়ি রাখা বেশ উপকারী। এতে মুখের ত্বক সরাসরি ধুলোবালি এবং রোদের সংস্পর্শে আসে না। তাই অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
* স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়:
সরাসরি রোদ ত্বকে লাগা, শেভ করার সময় ও শেভ করার পর নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করার ফলে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই পুরুষের ক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞেরা স্কিন ক্যানসার থেকে রক্ষা পেতে দাড়ি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
* ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে:
অনেককেই অল্প বয়সে বুড়িয়ে যেতে দেখা যায়। ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করে কারো কারো। তবে যারা দাড়ি রাখেন, তাদের ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে। মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যাডাম ফ্রাইডম্যানের মতে, মুখের ত্বক দাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকার ফলে সূর্যের আলোর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়, বলিরেখা পড়ে অনেক দেরিতে। তাই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেরি হয়।
* ব্রনের ঝামেলা থেকে মুক্তি:
পুরুষের ত্বকেও ব্রন ওঠে। শেভিং করার বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রিত উপাদান ও ধুলোবালি এই সমস্যা আরো বাড়িয়ে তোলে। যারা দাড়ি রাখেন, তারা নিয়মিত দাড়ির যত্ন নিলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।
* হাঁপানির প্রকোপ কমায়:
গবেষণায় দেখা যায় দাড়ি রাখা নাকেমুখে ক্ষতিকর ধুলোবালি ঢুকতে বাধা প্রদান করে। আর হাঁপানির রোগীদের জন্য ধুলোবালি ভীষণ ক্ষতিকর। দাড়ি রাখার ফলে হাঁপানির সমস্যা থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।