প্রকাশিত: ২৮/০২/২০২২ ৮:৪৭ পিএম

করোনা সংক্রমণরোধে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে শিশুদের প্রবেশে বিধি-নিষেধ ছিল। করোনাকালের দীর্ঘ ৩০ মাস পর কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করে সাত বছরের বেশি বয়সী শিশুরা। গতকাল শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে প্রবেশে সৌদি সরকারের অনুমোদনের পর এ দৃশ্য দেখা গেছে।

আরব নিউজ জানায়, ‘তাওয়াক্কলনা’ অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে টিকার উভয় ডোজ নেওয়া শিশুরা কাবা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে। এক নির্দেশনায় এ কথা জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, সৌদি আরবে বসবাসরত ওমরাহ পালনে আগ্রহী যে কেউ ‘ইতামারনা’ বা ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে এ অনুমোদন পাবে। এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, নির্ধারিত অ্যাপে আবেদনকারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘ইমিউন’ বা অনাক্রম্য দেখাতে হবে এবং তার স্বাস্থ্যবিষয়ক আপডেট তথ্য থাকতে হবে।
ওমরাহ, নামাজ ও জিয়ারতের পরিসংখ্যান বিষয়ক এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত সাত মাসে পবিত্র মসজিদুল হারামে ২৯.৪ মিলিয়ন মুসল্লিকে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময়ে পবিত্র মসজিদে নববিতে ৩.৭ মিলিয়ন মুসল্লিকে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্বসহ সব ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরাসহ করোনা বিষয়ক বিধি-নিষেধ শিথিল করে সৌদি আরব।

২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর জরুরি অবস্থা জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।

পাঠকের মতামত

দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রাখাইন, নতুন আশ্রয়প্রার্থীর আশঙ্কায় বাংলাদেশ

নজিরবিহীন সংকটে পড়তে যাচ্ছে প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতির সম্ভাবনা না থাকায় ...