পল্লী বিদুৎ সমিতি একীভূতকরণ সহ অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়ণ এবং অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করার দাবিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঘেরাও করেছে সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।
আজ সকাল থেকে রাজধানীর নিকুঞ্জে অবস্থিত আরইবির প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৩০ হাজার কর্মী এতে অংশ নিয়েছেন।
কার্যালয়ের বাইরে এবং ভেতরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আন্দোলনকারীদের কয়েকজন ভেতরে প্রবেশ করেছেন। বাকিরা বাইরে দাঁড়িয়ে আরইবির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সিরিয়ার মত হয়ে যাচ্ছে: জয়বাংলাদেশ সিরিয়ার মত হয়ে যাচ্ছে: জয়
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, মূল প্রতিষ্ঠান, নিয়োগকারী কর্মকর্তা, চাকরির যোগ্যতা এক হওয়া সত্ত্বেও আরইবির সঙ্গে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা—কর্মচারীদের ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। নিজেদের ন্যায্য দাবি জানিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আরইবিকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা আরইবি কোনও সমাধান না করে উল্টো দমন, নিপীড়ন, শোষণের অংশ হিসেবে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্তসহ নানা ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, সারা দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে স্বৈরাচার, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সচেষ্ট ঠিক তখনই বাপবিবো কর্তৃক সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের ওপর স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী কার্যক্রমের মাধ্যমে শোষণ, নিপীড়ন অব্যাহত রাখা হয়েছে।
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সবাই যখন ২য় স্বাধীনতার মাধ্যমে দেশ গঠনে ব্যস্ত তখন বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাপবিবো কর্তৃক বিভিন্ন সমিতির কর্মকর্তাদের হয়রানিমূলক বদলি, বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা (জয়পুরহাট) কর্তৃক সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ বেলাল হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকিসহ অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। সেই সাথে হয়রানিমূলক বদলি আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমিতির জিএম মহোদয়দেরকে বোর্ড কর্তৃক প্রচণ্ড রকমের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
আজ ব্যাংক থেকে ১ লাখের বেশি টাকা তোলা যাবে নাআজ ব্যাংক থেকে ১ লাখের বেশি টাকা তোলা যাবে না
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাই যখন জান মালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই বিদ্যুৎ সেক্টরকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে নিমজ্জিত করার হীন উদ্দেশ্যে বাপবিবো মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তাদের দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আরইবির কিছু কর্মকর্তাদের ইন্ধনে ন্যায্য দাবি না মেনে কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।