সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন রামু ও উখিয়া উপজেলার ২ ব্যক্তি। শুক্রবার, ১১ আগস্ট সকালে দুবাইয়ের সোনাপুর নামক এলাকায় প্রধান সড়কে পিকআপ ও কাভার্ডভানের সংঘর্ষে এরা প্রান হারান।
নিহতরা হলেন- রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ভুতপাড়া হাইটুপি এলাকার সফর আলী বাবুর্চির ছেলে মাইমুনর রশিদ (২২) ও উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ছোট ইনানী এলাকার আবুল বশরের ছেলে আকতার কামাল (৩৮)। নিহত আকতার কামালের চার সন্তানের পিতা।
নিহত মাইমুনের স্বজনরা জানান- দুবাই শহরের একটি বেসরকারি নির্মান কোম্পানির পিকআপ গাড়ির সহকারি হিসাবে কাজ করতেন মামুন । শুক্রবার (১১ আগষ্ট ) মাইমুনুর রশিদ রাতের ডিউটি শেষে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সোনাপুর এলাকায় আসলে তাদের গাড়ির সাথে একটি কাভার্ভভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে মাইমুন সহ দুইজন নিহত হন। আহত হন পিকআপটির চালকসহ আরও ২ জন।
নিহত মাইমুনর রশিদের পিতা সফর আলী বাবুর্চি জানান, ৪ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছেলে মাইমুনুর রশিদ। দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে এবং ছোট ভাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে দেড় বছর পূর্বে জীবিকার তাগিদে মাইমুনর রশিদ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। সেই থেকে পরিবারের অবস্থা ভালই চলছিল।
মাইমুনর রশিদের ভগ্নপতি মাদ্রাসা শিক্ষক মামুন জানান,একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে বিদেশে গিয়েছিল মাইমুন। তার অনেক স্বপ্ন ছিলো পরিবার নিয়ে। আকষ্মিক এ দূর্ঘটনায় পরিবারটিতে চলছে শোকের মাতম।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানান- প্রবাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুংখজনক। উপজেলা প্রশাসন তার মরদেহ দেশে আনার জন্য পরিবারকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
পাঠকের মতামত