ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৯/০১/২০২৪ ৯:৩৪ এএম

নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, দ্বিমুখী আচরণ, জনবান্ধন কর্মসূচি না থাকায় উত্তরাঞ্চলের জাতীয় পার্টির দুর্গ এখন আওয়ামী লীগের দখলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সব দল ভোটে অংশ নিলে একটি আসনও পেত না জাতীয় পার্টি। তাদের যা অবস্থা, তাতে কৌশল না পাল্টালে বিলীন হয়ে যাবে দলটি। তবে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের দাবি, তারা এখনো যথেষ্ট জনপ্রিয়। সরকারের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের কারণে হেরেছেন তাদের প্রার্থীরা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে জাতীয় পার্টির। মাত্র ১১টি আসনে জিতেছে লাঙ্গল, যা ১৯৯১ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের পতনের পর গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল।

রংপুর জেলার ৬টির মধ্যে শুধু সদরে জিতেছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। বাকি ৩টি নৌকার। আর দুটিতে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতারা।

রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের মধ্যে কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, বগুড়াসহ ৪টিতে জিতেছেন জাপা প্রার্থীরা। অথচ একটা সময় এসব আসনের প্রায় সবকটিতেই জাতীয় পার্টি জয়ী হতো, যা এখন আওয়ামী লীগের দখলে।

সাধারণ ভোটাররা বলছেন, এরশাদ যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন রংপুর অঞ্চলে তাঁর ব্যক্তিগত প্রভাব ছিল। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর সেই প্রভাব কমে গেছে।

১৯৯১ সালের নির্বাচনে ২২১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৫টিতে জয় পায় লাঙ্গল। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে দলটি যথাক্রমে ৩২ এবং ১৪টি আসন জয় পায়।

তবে জাতীয় পার্টির উত্তরের দুর্গে ভাগ বসিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখন আর একচ্ছত্র আধিপত্য নেই দলটির। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি তার অবস্থান নষ্ট করেছে, সমর্থন হারিয়েছে আরও অনেক আগেই। যদি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতো, যে আসন তারা পেয়েছে সেগুলোও তারা পেত বলে মনে হয় না।’

তবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলছেন, দল এখনো জনপ্রিয়। দলকে নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভুল তথ্য প্রচার করছে সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম। তিনি বলেন, ‘সরকারের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন হয়েছে। সরকার যেখানেই সুষ্ঠু করতে চেয়েছেন, সেখানেই সুষ্ঠু করেছেন। যেখানে চাননি, সেখানে করেননি। যেখানে যে প্রার্থীকে তারা জেতাতে চেয়েছেন, সেখানে সেভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছেন।’

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের ৩৩টি আসনের ১২টিতে জয় পায় জাতীয় পার্টি। আর দশম সংসদ নির্বাচনে সাতটি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অধীনে অংশ নিয়ে ২৭টি আসনে জয় পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। এবার পেল ১১টি।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের পক্ষে নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিকল্প নয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা প্রধান ল্যান্স ...

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে ঢুকতে বিধিনিষেধ

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধসহ ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি ও বেসরকারি ...

আমাদের নিয়ত সহিহ, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলেই নির্বাচন: সিইসি

অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ...