ডেস্ক রিপোর্ট- পরনে কালো টি-শার্ট আর অফ হোয়াইট রঙের প্যান্ট। কালো মুখোশ আর চশমায় ঢাকা মুখ। হাতে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। দেশমাতৃকার জন্য তাদের বুকে অদম্য সাহস আর চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা। ডাক পড়লেই অ্যাকশনে নামতে প্রস্তুত।
ঠিক এরকম ভূমিকায় দেখা গেল সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) নতুন টিম ‘ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি)’ এর ২৪ সদস্যকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষায়িত পুলিশ টিমের প্রশিক্ষকদের অধীনে জর্ডান ও সিলেটে প্রশিক্ষণ শেষে যাত্রা শুরু করেছে এসএমপির এই সিআরটি টিম। জঙ্গি দমন, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, বড় ধরনের সহিংস ঘটনাসহ রুদ্ধশ্বাস যেকোনো অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়তে সর্বদাই তৈরি এই দুর্ধর্ষ ২৪ পুলিশ সদস্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসএমপির অধীনে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ) এর কার্যক্রম চলছে। তবে সিটিইউ থেকে আরও উন্নত ও প্রশিক্ষিত একটি ইউনিট গড়ার তাগিদে জন্ম নেয় ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি)। এই বিশেষায়িত ইউনিটের জন্য বাছাই করা ২৪ পুলিশ সদস্যকে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি।
অ্যান্টি টেরোরিজম অ্যাসিসট্যান্স (এটিএ) প্রজেক্টের আওতায় ওই পুলিশ সদস্যদের গত জুনে পাঠানো হয় জর্ডানে। তাদেরকে সেখানকার পুলিশ ট্রেনিং কলেজে পাঁচ সপ্তাহ প্রশিক্ষণ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ৮ জন প্রশিক্ষক। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট সোয়াত যেভাবে কাজ করে, সেভাবেই সিআরটি কাজ করতে পারে।
এই সিআরটি টিমের কমান্ডার এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর দপ্তর) শাহরিয়ার আল মামুন, টিম লিডার হিসেবে আছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আহমেদ পিয়ার ও মুনাদির ইসলাম চৌধুরী। বিশেষায়িত এই টিমে ২ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৬ জন উপ-পরিদর্শক, ২ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক, ২ জন নায়েক ও ৯ জন কনস্টেবল রয়েছেন। গত বুধবার দুপুরে সিলেট পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে সিআরটি টিমের যাত্রা শুরু হয়। এ সময় সিআরটির কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলেন ধরা হয়।
সিআরটি টিমের বিষয়ে এর কমান্ডার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর দফতর) শাহরিয়ার আল মামুন বলেন, ‘উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিআরটি টিমের সদস্যদের মনোবল ও গতি বেড়েছে। এই টিম আগামীতে দেশ-বিদেশে অ্যাডভান্স ক্রাইসিস রেসপন্স, টেকনিক্যাল কমান্ডার ফোর্স, টেকনিক্যাল মেডিকেল প্রভৃতি বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে।’
পাঠকের মতামত