ঢাকা: বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার পর ক্রমশ দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শঙ্কামুক্ত হওয়ায় আবহাওয়া অধিদপ্তর রোয়ানু নিয়ে আর কোনো বিশেষ সতর্কবার্তা প্রচার করবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের এই ঘূর্ণিঝড় বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম উপকূলের সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, সীতাকুণ্ড ও ফেনী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসে। এরপর বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাদেশ অঞ্চল পেরিয়ে যায়।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ডপলার রাডার (DOPPLER RADAR) ইকো ও আবহাওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রমসম্পন্ন করেছে এবং বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
স্থল নিম্নচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের ফেনী, সীতাকুণ্ড ও খাগড়াছড়ি এবং ভারতের ত্রিপুরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর দিয়ে আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ০৩ (তিন) পুনঃ ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ০৩ (তিন) পুনঃ ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আরও দুই দিন বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
পাঠকের মতামত