ঢাকা : নাগরিক সভ্যতায় এখন সবাই অনেক ব্যস্ত। সবাই ছুটছে এক ‘অসীমের’ পেছনে। তাই সম্পর্কগুলোও নিজেদের মতো করেই গুছিয়ে নিচ্ছে মানুষ। অনেক স্বামী-স্ত্রীই এখন কর্মসূত্রে আলাদা থাকেন, অনেক দূরেও।
বছরে বা মাসে হয়তো একবার দেখা হয়। ভালো লাগার, ভালোবাসার সব কথাই হয় ফোনে, নাহলে চ্যাটবক্সে। এর জেরে অনেক সম্পর্কই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। অনেক সম্পর্ক আবার টিকে থাকে মজবুত হয়ে। কিন্তু দূরে থাকলেও কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলেই সম্পর্কে বিন্দুমাত্রও চিড় ধরে না। বরং বিরহেই বাড়বে প্রেমের দাম। কী সেই উপায়গুলি জেনে নেয়া যাক।
প্রেমের কথা
দূরে থাকলে সাক্ষাত্ দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। অতএব সঙ্গী ও সঙ্গিনী- দু'জনকেই একে অপরের অসুবিধাটা বুঝতে হবে। দিনের একটা সময় অন্তত প্রেম করা দরকার। ভালোবাসার কথা একে অপরের সঙ্গে ভাগ করা উচিত। প্রেম সব দূরত্ব ঘুচিয়ে দেয় নিমেষে।
খেয়াল রাখুন পরস্পরের
একা থাকলে সব কাজ নিজেকেই করতে হয় ঠিকই। নিজের খেয়াল নিজেকেই রাখতে হয়। তবুও কিছু মূল্যবান পরামর্শ, মোবাইলে ব্যালেন্স তুলে দেয়া, কিছু বিল অনলাইনে দিয়ে দেয়া- মোট কথা দূরে থেকেও খেয়াল রাখা। দেখবেন সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে।
উপহার
আজকাল উপহার দেয়ার জন্য বেশি কসরত করতে হয় না। সৌজন্যে অনলাইন শপিং। আর উপহার কে না ভালোবাসে? প্রিয়জনকে উপহার দিন মাঝে মাঝে। হঠাত্ আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর উপহার পেলে মন খুশ। তার জন্য দেখা করারও দরকার নেই।
একে অপরকে সময় দেয়া
দূরত্বের সম্পর্ককে মজবুত বাঁধনে বেঁধে রাখতে সময় দেওয়া বা কোয়ালিটি টাইম খুব জরুরি। সারাদিন কাজ নিয়ে মেতে থাকলেই হবে না। কোনও একটা সময়, কোনও একটা দিন পরস্পর গল্প করুন। সেটা চ্যাটেও হতে পারে, ফোনেও। একে অপরকে ভালোবাসার কথা বলুন।
মাঝেমধ্যে ছুটি কাটান একসঙ্গে
সাপ্তাহিক ছুটি বা বিশেষ কোনো ছুটি পেলে কাটান প্রিয়জনের সঙ্গে। কোথাও থেকে ঘুরেও আসতে পারেন। আসলে ভালোবাসায় হাতে হাত রেখে হাঁটাটাও দরকার মাঝে মধ্যে।