শফিক আজাদ,উখিয়া নিউজ ডটকম::
ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’য় আক্রান্ত উখিয়ার পাশ্ববর্তী পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম,তুমব্রু,উত্তর ঘুমধুম এবং রেজু বরইতলিতে প্রায় ২২ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাাণ বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ২জুন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথমে ঘুমধুম বেতবুনিয়া বাজার চত্ত্বরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্দোগে এক সংক্ষিপ্ত পথসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ,পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপি বলেছেন আওয়ামীলীগ সরকার সব সময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের চরম দুঃসময়ে পাশে থাকে। দুর্গত মানুষের সহায়তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দরজা খোলা। তারই নির্দেশনায় আজকে মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া ঘুমধুমের তৃণমূল মানুষের পাশে এসেছি। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য সরকার সব ধরণের সহায়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এতে বক্তব্য রাখেন প্রতিনিধি দলের সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আকতারুজ্জামান প্রমুখ। বেলা ১২টায় পুর্ব নির্ধারিত ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে এক মতবিনিময় শেষে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন সংসদীয় টিম। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সঞ্চালনায় এবং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত মতবিনিময় সভায় সংসদীয় প্রতিনিধিদলসহ এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যাশৈলা মার্মা, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত আর্চায্য, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাশ, মাস্টার কেউচিং চাক, এমপি প্রতিনিধি খাইরুল বশর, নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু তাহের কোম্পানি, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ কবির, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর আ’লীগ সভাপতি তারেক রহমান, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আবদুস ছাত্তার, সপন চাক,প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা জাহেদ আলম চৌধুরী, ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেজ প্রমূখ। পরে দুপুর ১টার দিকে সংসদীয় টিম ঘুমধুম ইউনিয়নের উত্তর ঘুমধুম, এবং রেজু বরইতলি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিরতণ শেষে নাইক্ষ্যংছড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
উল্লেখ্য যে, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তৈরীকৃত তালিকা অনুযায়ী দেখা যায়, গত ২৯ মে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ তান্ডবে উখিয়ার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নে প্রায় ২২শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তৎমধ্যে ৪শতাধিক সম্পূর্ণ বিধ্বস্থ এবং বাকী গুলো আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ।