প্রকাশিত: ১৮/১০/২০১৬ ১০:৫৮ পিএম , আপডেট: ১৯/১০/২০১৬ ৯:৫৬ এএম
সন্ধা ৬টায় ডাক্তার রবিরস্থলে অফিস করছেন উখিয়া সদর মেডিকেল সাব সেন্টারের মেডিকেল এসিষ্ট্যান্ট মাহমুদুল হাসান ।
সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::

উখিয়া সরকারী হাসপাতালের অবস্থা দিনের পর দিন অবনতির দিকেই যাচ্ছে।কোন নিময়নীতির বালাই নেই।যে যার মত করে আগের গোছাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।হাসপাতালে একেতো ডাক্তার সংকট তার উপর যারা রয়েছেন তারাও সকাল বিকাল প্রাইভেট বানিজ্য নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।সবচেয়ে

সন্ধা ৬টায় ডাক্তার রবিরস্থলে অফিস করছেন উখিয়া সদর মেডিকেল সাব সেন্টারের মেডিকেল এসিষ্ট্যান্ট মাহমুদুল হাসান ।
সন্ধা ৬টায় ডাক্তার রবিরস্থলে অফিস করছেন উখিয়া সদর মেডিকেল সাব সেন্টারের মেডিকেল এসিষ্ট্যান্ট মাহমুদুল হাসান ।

গুরুতর অভিযোগ ডাক্তার রবিউর রহমান রবির বিরুদ্ধে।এ ডাক্তার উখিয়া সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার হলেও সকাল-বিকাল নিয়মিত রোগী দেখেন উপজেলার কোটবাজারের প্রাইভেট হাসপাতাল অরজিনে। শুধু তাই নয়,জরুরী বিভাগে তার নির্ধারিত ডিউটি থাকলেও অনজিন হাসপাতালে প্রাইভেট বানিজ্য চালিয়ে নিতে তিনি তার স্থলে অথিতি মেডিকেল এসিষ্টেন্ট দিয়ে উখিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগ চালিয়ে নিচ্ছেন।এতে সাধারন রোগীরা প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি অপচিকিৎসার শিকারও হচ্ছেন।

সাংবাদিক পরিচয় পেযে কোটবাজারে অনজিনে দরজা আটকিয়ে দেয় ডাক্তার রবি
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ডাক্তার রবি,র সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলে দরজা আটকিয়ে দেয়

   মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক জনগনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উখিয়া হাসপাতালে সরজমিনে গিয়ে দেখা  গেছে.বেশ কয়েকজন রোগী হাসপাতাল করিডোরে অপেক্ষা করছে নির্ধারিত ডাক্তার রবিউর রহমান রবি,র আশায়।কেউ কেউ জরুরী বিভাগে কর্মরত মেডিকেল এসিষ্ট্যান্ট  মাহমুদুল হাসান নামের একজনের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।জরুরী বিভাগের রুমে পাশে টাঙানো নোটিশ বোর্ডে লেখা আছে মঙ্গলবার দুপুর ২ টা থেকে ৮ পর্যন্ত ডাক্তার রবিউর রহমান রবি,র ডিউটি। এ ব্যাপারে জরুরী বিভাগে কর্মরত  মাহমুদুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি উখিয়া সদর মেডিকেল সাব সেন্টারে মেডিকেল এসিষ্ট্যান্ট কাজ করি। রবি স্যারের পরিবর্তে আমি প্রায় সময় জরুরী বিভাগে ডিউটি করি।এখানে তেমন একটা রোগীর চাপ নেইতো ,তাই আমি সামলাতে পারি।রবি স্যার কোটবাজারে অনজিনে রোগী নিয়ে ব্যস্ত আছেন।উনি প্রায় সময়  প্রাইভেট হাসপাতাল অরজিনেই সময় কাটান।

সন্ধা ৬টায় অরজিন হসপিটালে ডাক্তার রবির সিরিয়ালে অপেক্ষায় রোগীরা
সন্ধা সাড়ে ৬টায় অরজিন হসপিটালে ডাক্তার রবির সিরিয়ালে অপেক্ষায় রোগীরা

এ সময় উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক কর্মচারী জানায়, আমাদের বলার থাকলেও  বলা সম্ভব হয়না। এখানে ডাক্তারদের ডিউটি কার্যতালিকা থাকলেও তা কেউ মানতে চাই না। সব ডাক্তার নিজেদের সুবিধা মতে ডিউটি করতে চাওয়ায় কার্যত কার্যতালিকা অকার্যকর।এখানেতো হাসপাতালে আসেননি না। শুধু শুধু তাদের উখিয়া হাসপাতালে ডাক্তার বলে লাভ কি। তাদের প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তার বলাই ভাল।তারা আরো বলেন,লিকে কি হবে,যেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার পর্যন্ত হাসপাতালে আসেননা। গুত্বত্বপূর্ণ দুই কর্মকর্তা যেখানে নিয়মিত আসেন না সেখানে অন্যান্য মেডিকেল অফিসাররা তাদের পথ অনুসরন করেছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার রবিউর রহমান রবি’র মোবাইল -০১৮১৪০৯২২৯৮ নাম্বারে একাধিকবার চেষ্টা করলেও  তিনি মোবাইল রিসিফ করেননি।

সকাল ৮ টা থেকে রাত র্পযন্ত সরকারি পরিপত্রে ডিউটি করার কথা থাকলেও ডাক্তার রবি ডিউটিতে ছিলেন না।
সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ র্পযন্ত সরকারি পরিপত্রে ডিউটি করার কথা থাকলেও ডাক্তার রবি ডিউটিতে ছিলেন না।

মোবাইল রিসিভ না করায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কোটবাজার অরজিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা তার চেম্বারের সামনে প্রচুর ভীড়। ডাক্তার রবির সহকারী জানালেন দুপুর ২ টা থেকে স্যার রোগী দেখছেন,এখনো ২০ জনের মতো রোগী বাকী রয়েছে।প্রতিদিনই রোগীর প্রচন্ড ভীড়।সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ডাক্তার রবি,র সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলেন।উখিয়া হাসপাতালে অনিয়মের ব্যাপারে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সাংবাদিক হানিফ আজাদ বলেন,জরুরী বিভাগের নির্ধারিত ডাক্তার কিভারে বাঁধাহীন ভাবে প্রাইভেট বানিজ্য ব্যস্ত থাকে,তা খতিয়ে দেখা হবে।সুসাশনের জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন,উখিয়া হাসপাতালের ডাক্তাররা প্রাইভেট বানিজ্য নিয়েই ব্যস্ত,হাসপাতালে নিয়ম বলতে কিছু নেই,বলারও কেউ নেই। এ ব্যাপারে কথা বলতে মোবাইলে পাওয়া যায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল মাবুদকেও। তবে উখিযা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য বিষয়ে লোকজনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আমরা নিজেরা এ ব্যাপারে বিব্রত।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...