ফিচার ডেস্ক::
কথায় আছে, ৬৮ হাজার গ্রামের দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি গ্রামই নয়নাভিরাম, নান্দনিক, অপূর্ব কিংবা হৃদয়স্পর্শী। তারপরও প্রকৃতিপ্রেমীরা সারাদেশ খুঁজে বের করেছেন দেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। আমাদের দেশেই যে এত অপূর্ব একটি গ্রাম আছে তা হযতো অনেকের এখনো অজানা। সুন্দর গ্রামটি হচ্ছে সিলেটের ‘পানতুমাই’।
শুধু গ্রামটিতেই কাটিয়ে দেয়া যায় মাসের পর মাস। পানতুমাইয়ের মূল বৈশিষ্ট্য পাহাড় ঘেঁষা আঁকাবাঁকা পথ। গ্রামের শেষে পাহাড়ি গুহা থেকে হরিণীর মতোই লীলায়িত উচ্ছল ভঙ্গিমায় ছুটে চলেছে ঝরনার জলরাশি। যেন রূপের মাধুরী তুলে ধরছে নিজস্বতায়। দূর থেকে দেখা মিলে শাঁ শাঁ শব্দে শুভ্র জলের এক নতুন অদ্ভুত অপ্সরীর। মেঘালয়ের গহীন অরণ্যের কোলে বাংলাদেশের পানে রূপের মাধুরী ফেলে অপরূপা এক জলপ্রপাত। সফেদ জলধারা লেপ্টে আছে সবুজ পাহাড়ের গায়। দেখলে মনে হবে সবুজের বুকে কেউ হয়তো বিছিয়ে রেখেছে সাদা শাড়ি।
পাহাড়ি স্বচ্ছ জলের ছড়া পাড়ি দিয়ে গাঁয়ের মেঠো পথ, বাঁশ বাগান, হাঁটু জলের নদী পার হয়ে প্রতাপ্পুর গ্রাম। এর পরের গ্রাম পান্তুমাই। প্রতাপ্পুর গ্রাম পাড়ি দিয়ে সামনে উঁচু পাহাড় ঘেঁষে বিশালাকার এক ফুটবল মাঠ পাওয়া যায়। মাঠ পেরিয়ে কিছুটা জঙ্গল। জঙ্গলের কিছুটা এগুলেই শোনা যায় জল গড়িয়ে পড়ার কল কল শব্দ । জঙ্গলের মাঝখানে উঁকি দিচ্ছে রূপবতী ঝরনা পান্তুমাই। বড় বড় পাথরের গা বেয়ে অনেক উঁচু থেকে ইংরেজি এস অক্ষরের মতো। স্থানীয়রা ঝরনাটিকে ফাটাছড়ির ঝরনা বা বড়হিল ঝরনাও বলেন।কিছু দূর সামনে এগিয়ে গেলে দেখা পাবেন সতর্কবাণী লেখা সাইন বোর্ড সাবধান সামনে ভারত, জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ।
নির্দেশনা
গ্রামটিতে যেতে চাইলে সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে যাবেন গোয়াইনঘাট থানা সংলগ্ন বাজার যেতে হবে প্রথমে। সেখান থেকে আরেকটি সিএনজি-তে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাংথুমাই বা পানতুমাই। এই গ্রামে কোনো খাবার হোটেল বা থাকার ব্যবস্হা নেই, তাই শুকনা খাবার অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। রাতে থাকতে চাইলে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে থাকতে পারবেন।