মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাতে উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমারের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটছে। পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রবেশের চেষ্টা করছে।
শুক্রবার ভোর থেকে আরাকানের বুচিডং-এ রোহিঙ্গা গ্রাম ফুমালিতে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আরাকান আর্মি ফুমালি গ্রামে আশ্রয় নেয়।
সেই সময় সেনা ঘাঁটি থেকে ভারী গোলাবর্ষণে বহু হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। আহত শতাধিক রোহিঙ্গাকে বুচিডং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মোবাইলের নেটওয়ার্ক সচল না থাকায় যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন। হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে, শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম ইরাবতী বলছে, এর আগে বুধবার রাখাইনের একটি শহর নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি। এরপর আশপাশের গ্রামগুলোতে শুরু হয় তীব্র গোলাগুলি।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় (আরআরআরসি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরুর পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনে ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দিয়েছিল। সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করে মাত্র ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তা বাংলাদেশের কাছে ফেরত পাঠিয়েছিল মিয়ানমার।
কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প ও ভাসানচর মিলিয়ে দেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন।