সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে গত সোমবার। এখনো শুরু হয়নি হজের মূল কার্যক্রম। ইতোমধ্যে মক্কা ও মদিনার পবিত্র মাটিতে ৩০ বাংলাদেশি হজযাত্রীর শেষ ঠিকানা হয়েছে। তন্মধ্যে মক্কায় ২১ জন, মদিনায় ৮ জন এবং জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়ে গত সোমবার পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৪৪টি ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৫৫টিসহ মোট ২৯৯টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়। এতে মোট ১ লাখ ১ হাজার ৮২৯ (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরব যান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ১৮৩ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৫ হাজার ৬১৪ জন।
সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি বছর যে ৩০ জন হজযাত্রী মারা গেছেন তারা হলেন- সিলেটের আকরিজউল্লাহ (৭৫), ফরিদপুরের মো. আইনুদ্দিন মোল্লা (৭৯), কুষ্টিয়ার তাহেরা খানম (৬০) ও মকবুল হোসেন (৬৭), সোনাইমুড়ির রাজাউল হক (৫৩), ফেনীর ওবিদুল হক (৭৮), গাজীপুরের আলী আহমেদ শিকদার (৬৬), বরিশালের আলাউদ্দিন ফকির (৭৪), টাঙ্গাইলের রামিছা বেগম (৬৭), নরসিংদীর নুর চাঁদ মিয়া (৫৬), চাঁদপুরের নাসির আহমেদ (৬৪), নোয়াখালীর ইসমাইল (৬২), চাঁদপুরের হাবিবউল্লাহ (৮৪)।
শেরপুরের জমিরউদ্দিন (৭৪) ও রাশেদা বেগম (৪৮), কুমিল্লার আবু তাহের (৮৭), কুষ্টিয়ার সুফিয়া খাতুন (৬২), রংপুরের ইসমাইল হোসেন (৭১), নওগার সিরাজুম মুনিরা লাবলি (৫১), রাজধানীর ফরিদাবাদের এসএম মোফাজ্জেল হোসেন (৬৬), নেত্রকোনার মো. ওয়াকিলউদ্দিন (৬৭), জয়পুরহাটের হাবিবা ফেরদৌসি রিক্তা (৪১), গাজিপুরের জামিলা আক্তার (৭৯), বগুড়ার মরিয়ম বেগম (৫১), কসবার আবুল হাশেম (৭৯), পাবনার নুরুজ্জামান কাশেমী (৫৯), সরাইলের জহুরা খাতুন (৬১), চট্রগ্রামের রাহানউদ্দিন (৭৩) এবং রংপুরের হেলালউদ্দিন (৬৪)।
ধর্ম মন্ত্রণালয়াধীন হজ অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক জাগো নিউজকে বলেন, হজ নীতিমালা অনুসারে যে সকল হজ গমনেচ্ছু আবেদনপত্র পূরণ করেন সেখানে একটি ঘরে এই মর্মে অঙ্গীকারনামা থাকে যে, কোনো বাংলাদেশি হজযাত্রী সেখানে মারা গেলে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে না, তাকে সৌদি আরবেই দাফন করা হবে। সুতরাং যারাই হজে গিয়ে মারা যান তাদের শেষ ঠিকানা সৌদি আরবের মাটিতেই হয়।