শেকৃবি প্রতিনিধি: বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে নকল ডিমের খবর প্রকাশ পেয়ে আসছে। দেশের ঢাকারসহ বিভিন্ন স্থানে নকল ডিম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে।তবে এসব গুজবে কান না দিয়ে সকলের জন্য একটি ডিম প্রতিদিন খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ। এছাড়া দেশে নকল ডিমের কেউ সন্ধান দিতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা করেছে ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সাইন্স এ্যাসোসিয়েসন। আসল ডিমকে নকল ডিম বলে পোলট্রি শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিমত প্রকাশ করছে বিশেজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ বিডি২৪লাইভকে বলেন, প্রতিদিন আমাদের কাছে আসল ডিমকে নকল ডিম বলে লোকজন নিয়ে আসছে। তাদের একজন তিনটি ফাটল ডিমকে নকল ডিম বলে প্রমাণ করে। তাদের ডিম আর আমাদের পোলট্রি খামারে উৎপাদিত ফ্রিজ এ সংরক্ষণ করা কিছু ডিম পানিতে ভিজিয়ে রাখি। পানিতে রাখা ডিমগুলোর মধ্যে তিনটি সূক্ষ ফাটল ছিল। কয়েক ঘণ্টা পর দেখি ফাটল তিনটি ডিমের বাহ্যিক অবস্থা তথাকথিত নকল ডিমের অবস্থার মতো। তাই এভাবে অতি সহজে ডিম সম্পর্কে মতামত না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. বেগ।
রেনেটা এনিম্যাল হেলথ বিভাগে প্রধান ও ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সাইন্স এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সাবেক মহাসচিব সিরাজুল হক বলেন, নকল ডিম বানানো এত সহজ নয়। ডিমের খোলসের ভিতরের যে পর্দা আছে ওটা বানাতে ও সেটিংস এ যে খরচ পড়বে তা দিয়ে ৫ টাকা কেন ২০ টাকায় ও ডিম দিতে পারবেন না। যে গরম তাতে কয়েকদিন ডিম থাকলেই ডিমের কুসুম ভেঙ্গে যাবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এখন এটা নিয়েই হইচই, ছোটবেলা বহু নষ্ট ডিম কিনেছি, ঘরে এনে নকল বলিনি। আজকাল সবকিছু নকল হওয়াতে কোন কিছুই আসল ভাবতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সাইন্স এ্যাসোসিয়েসন থেকে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলাম। এ ঘোষণা আমরা দিয়েছিলাম ২ বছর আগে। আজ পর্যন্ত কেউ নকল ডিম দেখাতে পারেনি। আসুন নকল ডিমের পেছনে না দৌড়ে আসল ডিমের চেনার উপায়ে জানার চেষ্টা করি।আসল ডিম চেনার উপায় সম্পর্কে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ বিডি২৪লাইভকে বলেন, ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ ভাঙ্গার পরেও আলাদাভাবে পরস্পর আবদ্ধ হয়ে থাকবে, একত্রে মিশবে না। কুসুমের চারদিকে একটি স্বচ্ছ পর্দা দ্বারা আবৃত থাকবে। কুসুমে একটি ধূসর বর্ণের স্পট থাকবে। সাদা অংশে, কুসুমের দুইপাশে তুলার মতো একটি সূত্রক থাকবে। ভাঙ্গা ডিমের মোটা অংশের দিকে বায়ুপ্রকোষ্ঠ থাকবে। ডিমের খোসার নিচে দুটি পর্দা ভালভাবে আটকে থাকবে। ভাজা ডিমে বাবল কম দেখা যাবে।