অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতের হরিয়ানা বিধানসভার অধিবেশন চলছিল। এর মধ্যেই সভার গুরুত্বপূর্ণ আসন গ্রহণ করলেন নগ্ন এক ব্যক্তি। বক্তব্য রাখলেন টানা ৪০ মিনিট। বললেন, স্বামীর প্রতি নারীর কর্তব্য, ভ্রুণহত্যা, রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে। আর বিধানসভার সবাই তার কথা শুনে যেন মন্ত্রমুগ্ধ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসেরে এক প্রতিবদনে আরো জানানো হয়, শুক্রবার বিকেলে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেন জৈন ধর্মগুরু তরুণ সাগর। শিক্ষামন্ত্রী রাম বিলাস শর্মার আমন্ত্রণে আসেন তিনি। তরুণ সাগর তার বক্তৃতায় স্বামীর প্রতি নারীদের কর্তব্য, কন্যাভ্রূণ হত্যা বন্ধ এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি ও ধর্ম যেমন একে অপরের সঙ্গে জড়িত, স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্কটিও ঠিক তেমন। স্বামী ধর্ম আর স্ত্রী রাজনীতি। স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীকে বিপদ থেকে রক্ষা করা। আর স্ত্রীর ধর্ম স্বামীর প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা।’ বক্তব্যে কন্যাভ্রূণ হত্যা রোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে একটি উপায়ও বাতলে দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কারও ঘরে মেয়ে না থাকলে তিনি লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না বলে এখনই সরকারের ঘোষণা করা উচিত।’
সাধু তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘ছেলের পরিবারে যদি একটিও কন্যা সন্তান না থাকে তাহলে সে বাড়িতে মেয়ের বিয়ে না দেওয়াই ভালো। কোনো বাড়িতে কন্যা সন্তান না থাকলে সে বাড়ির ভিক্ষা নেওয়াও উচিত নয় সাধু সন্ন্যাসীদের। আর এগুলো মেনে চললেই কন্যাভ্রূণ হত্যা রোধ হবে।’
পাকিস্তান নিয়েও কথা বলেন ওই নগ্ন সাধু। ‘তিনি বলেন, সবাই জানে আমাদের প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। তারা বারবার অপরাধ করলেও ভারত ক্ষমা করে দিচ্ছে।’