একমাত্র নবজাতক সন্তানকে দেখে যেতে পারলেন না কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাইয়ারা গ্রামের মনিরুজ্জামান। শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
মনিরুজ্জামান চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসে ফায়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দগ্ধ হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে রাতে মারা যান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনিরুজ্জামান নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাইয়ারা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের ছেলে। তার পাঁচ ভাই, এক বোন। তিনি বরিশাল বিয়ে করেন।
তার স্ত্রী বরিশালে বাবার বাড়িতে থাকেন। এক সপ্তাহ আগে তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এটিই এই দম্পতির প্রথম সন্তান।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল আবেদীন জানান, মনিরুজ্জামান কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে বদলি হয়ে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসে আসেন।
একমাত্র সন্তানকে দেখার জন্য কয়েকদিনের মধ্যে বরিশালে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সে সুযোগ তিনি পাননি। আমরা তার মৃত্যুতে শোকাহত।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, আমরা মনিরুজ্জামানের মৃত্যুর বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি। বিস্তারিত জেনে আমাদের পক্ষ থেকে যে ধরনের সহায়তা দরকার, তা করব।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে আগুন লাগার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৪ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত তিন শতাধিক
পাঠকের মতামত