বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে নাশকতা ও সড়কে প্রতিকন্ধতা সৃষ্টি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের চেষ্টার অভিযোগে ৯৮ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও রিষ্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ ।
সোমবার ( ১১ নভেম্বর ) রাত দেড় টায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন তারা। মামলায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ ইউছুপ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে সংঘবদ্ধ হয়ে ১১ নভেম্বর সোমবার রাত দেড়টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের অদূরে বিছামারা এলাকার ৩৩/১১ কেবি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের পাশে রাস্তার উপরে পরপর ৩ টি বিষ্পোরণ ঘটায় আসামীরা । রাস্তায় প্রতিকন্ধতা সৃষ্টি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ধ্বংস সহ আরো বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় বড় ধরণের ক্ষতি সাধনে চেষ্টা করছিল তারা । এ জন্য তারা দফায় দফায় বৈঠক করেছে বলেও উল্লেখ করা হয় মামলায়। খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের একটি দল এস আই আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে দলটি ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে বিস্ফোরিত ৩ টি ককটেলের খোসা, লাঠি ও ইটের টুকরো। এ সময় পুলিশ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডা: মো : সিরাজুল হক (৬০), নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন (৪৩), নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজুল্লাহ (৪২)।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাসরুরুল হক বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। তাই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে আর জনসাধারণের নিরাপত্তায় কাজ করছে প্রশাসন। সে জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নাইক্ষ্যংছড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে মধ্যরাতে আটক করে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, সোমবার রাতে অস্থিতিশীল করার ঘটনায় ৬৮ জন জ্ঞাত আর আরো ২০/৩০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা হয় ১টি। আসামীদের মধ্যে যারা পলাতক রয়েছে তাদের আটকে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। রেহায় পাবেনা কেউ
পাঠকের মতামত