নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপি'র তুমব্রু ১ নং ওয়ার্ডের তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকায় এক রোহিঙ্গা নারী ভোটার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে নানান গুঞ্জন। জনমনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বুধবার(২৫ সেপ্টেম্বর) রোহিঙ্গা নারী ভোটার হওয়ার অভিযোগে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সরেজমিন গিয়ে একাধিক স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মরহুম কামাল পাশার ছেলে মোঃ ইউনুছ ওরফে বাইগ্যা গত কয়েক বছর পূর্বে সীমান্তের ওপার থেকে এক রোহিঙ্গা নারীকে সন্তানসহ বাগিয়ে এনে বিয়ে করেন।
পরবর্তিতে এই রোহিঙ্গা নারীকে হাছিনা বেগম নাম ব্যবহার করে পাইয়ে দেন বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড।কিভাবে এই রোহিঙ্গা নারী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?কারা জড়িত,তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।ওই নারীর ভোটার বাতিল করার দাবী জোরালো হচ্ছে।
এদিকে এই রোহিঙ্গা নারী বিয়ে করার পর পর থেকে মোঃ ইউনুছ ওরফে বাইগ্যার কপালও ফিরে গেছে। পিছনে ফিরে থাকাতে হয় নাই। রোহিঙ্গা নারী বিয়ের কারণে, ওই নারীর আত্মীয়দের যোগসাজসে সীমান্তের মিয়ানমার কেন্দ্রিক সমস্ত অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।এতে রহস্যজনক কারবারে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, গত ২/১ বছর পূর্বে মোঃ ইউনুছ ওরফে বাইগ্যার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার উদ্ধার করে প্রশাসন।
অবৈধ ব্যবসায় অর্জিত কালো টাকার জোরে তার রোহিঙ্গা স্ত্রীর হাতে এখন বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড দেখা যাচ্ছে।
এ রোহিঙ্গা ভোটার প্রসঙ্গে ঘুমধুম ইউপি'র ১ নং ওয়ার্ড সদস্য (পশ্চিমকুল-জলপাইতলী) শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বিকার করে বলেন, হে এই নারী রোহিঙ্গা তবে কিভাবে বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড হাতে পেলো তা আমার জানা নাই। তবে আমি এসব রোহিঙ্গাদের হাতে বাংলাদেশী এনআইডি বাতিল করতে নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম শত-শত রোহিঙ্গাদের কার্ড আমি জব্ধ করেছি এবং এসব অবৈধ ভোটারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের দিকে এসব রোহিঙ্গারা ভোটার হয়ে আমার ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসতি স্থাপন করে আছে। আমিও চাই এসব রোহিঙ্গাদের হাতে থাকা বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড দ্রুত বাতিল করা হউক।এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য বাইগ্যার নাম্বারে কল দেওয়া হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়,ফলে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য: এই রোহিঙ্গা নারীর রোহিঙ্গা ছেলে আবছার সীমান্তে মাদক ও চোরাই স্বর্ণের চালানের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার পরও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এবং রোহিঙ্গা আবছার গত কয়েকবছর পূর্বে স্থানীয় এক নারী বিয়ে করে সংসার করে আসছে বলেও সত্যতা পাওয়া গেছে।