উখিয়া নিউজ রিপোর্ট ::
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় ভোর ৫টার দিকে বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় গুরুকে অংছাথোয়াই চাকের স্ত্রী খাবার দিতে গিয়ে দেখতে পায় সে গলা কাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় পাড়ার লোকজনকে জানালে সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছান। এসআই আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে হয়ত কোন দূর্বৃত্তের দল অথবা কোন ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
উক্ত ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবির একটি টহল দল নায়েব সুবেদার খুরশেদ আলমের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাফায়েত মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুর ছেলে অংছাথোয়াই চাক বলেন, তার পিতা দীর্ঘ দুই বৎসর যাবৎ উক্ত বিহারে ধর্মীয় নেতা হিসেবে অবস্থান করছিলেন। তার সাথে কারো ঝগড়া বিবাদ নেই।
উপজাতীয় নেতা বাবু নিউলামং মার্মা বলেন, উক্ত ঘটনায় উপজাতীয় লোকজন সহ বাকী ধর্মীয় গুরুরা আতংকিত। কারণ পার্বত্য এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আর কোনদিন তারা দেখেননি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৌদ্ধ বিহারের ভিতরেই ধর্মীয় নেতা মংশৈউ চাকের লাশ গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু বিহারের কোন জিনিষ পত্র এলোমেলো নেই এবং স্থানীয়দের দাবী বিহারের কোন প্রকার টাকা-পয়সা বা মূর্তি লুটতরাজ হয় নাই।
এই রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত পুলিশ ও বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থল ঘেরাও করে রেখেছ এবং স্থানীয় লোকজনদের বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবে কাউকে এই পর্যন্ত আটক অথবা গ্রেপ্তার করা হয়নি।