শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)থেকেঃঃ
বান্দরবানের বাইশারীতে বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যার ঘটনায় মামলা উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের উপর চাক পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিক্ষুর ছেলে চিংসাউ চাক শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় এ হত্যা মামলা করেন।
এদিকে ভিক্ষু মংসই উর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহ জনক ৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে।
তবে এখনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন স্থানীয় বাসিন্দা ছামং চাক (৪৫), অপর ২ ব্যক্তি আব্দুর রহিম (৪০) ও জিয়াউল হক (৩৫)। এরা সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক বলে পুলিশ জানায়। আটককৃতদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি জিজ্ঞাসাবাদে।
আটককৃতদের আত্বীয়-স্বজন বলেন, তারা নির্দোষ, এলাকায় দিন মজুরী করে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করে। গত শনিবার রাতে হত্যার ঘটনায় ছেলে অংছাথোয়াই বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অংছাথোয়াই বলেন, তার পিতার সাথে কারো সাথে কোন ধরনের বিবাদ ছিল না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য থোয়াইচাহ্লা চাক বলেন, উক্ত ঘটনায় এলাকার লোকজন আতংকিত অবস্থায় রয়েছে। তবে বৌদ্ধ ভিক্ষুর সাথে তার জানামতে কারো বিরোধ ছিল না। কিভাবে ঘটনা ঘটল তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। বর্তমানে উক্ত এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে লামা সার্কেল আল-মাহমুদ জানান। তিনি আরো জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় উপজাতীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা খুবই চিন্তাগ্রস্থ। একজন ধর্মীয় গুরুকে হত্যা ঘটনার তারা হতবাক। পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবী সহ ঘটনার সুষ্ট তদন্তেরও দাবী তুলেন।বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকায় রয়েছেন।