শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি::
নাইক্ষ্যংছড়িতে জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ইসলামী সমাজ কল্যান পরিষদের নামে গত ২৬ বছর ধরে সরকারী জমি জবর দখল করে রেখেছে। উক্ত জায়গায় অবৈধ ভাবে ব্যবসা চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটস্থ করেছে জামায়াতের কতিপয় নেতা। অবশেষে উক্ত জায়গা দখলমুক্ত করতে উদ্দ্যেগ নিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু শাফায়াৎ মুহম্মদ শাহে দুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনও তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের জানান- শিশুপার্ক সংলগ্ন এলাকায় জনৈক মোহাম্মদ রফিক ১৭৬নং নং খতিয়ানের ২০ শতক প্রথম শ্রেণীর জমি বিগত প্রায় ২৬ বছর যাবত অবৈধ দখলে রেখেছেন। সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উক্ত জমিতে বসবাসকারী উপজেলা জামায়াত সভাপতি মোহাম্মদ রফিককে তলব করা হয়। কিন্তু তিনি উক্ত জমির পক্ষে ঘষামাঝা যেসব কাগজপত্র দাখিল করেছেন তা বৈধ নয়।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দাখিলকৃত জমি বিক্রি অঙ্গিকার নামা যাচাই করে দেখা যায়, বিগত ০৭/০১/১৯৯১ সালে শামসুল আলম ২৭০নং মৌজার ১৭৬নং খতিয়ানের ২০ শতক জমি বিক্রি করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু মরহুম শামসুল আলমের পুত্র নুুরুল আলম, ফখরুল ইসলাম কালু জানান- মোহাম্মদ রফিক কিংবা কোন সংগঠনকে নামে তাঁদের পিতা কোন জমি বিক্রয় করেনি।
এ বিষয়ে সমাজ কল্যান পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ রফিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- ইসলামী সমাজ কল্যান পরিষদের জায়গাটি অবৈধ দখলে নয়। বিগত সময়ে এখান থেকে উপার্জিত অর্থ রেজুলেশনের মাধ্যমে অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে সাহায্য করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের সার্ভেয়ার মো: মনিরুল হক জানান- উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মৌখিক নির্দেশ পেয়ে সরেজমিনে তিনি পরিদর্শণ করেছেন। উক্ত জায়গায় কয়েকটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখলে থাকা মোহাম্মদ রফিক জমির মালিকানার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
পাঠকের মতামত