প্রকাশিত: ১৯/১২/২০১৬ ৯:৪১ এএম

হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের মন্ডল্যাঘোনা গ্রামে পরিবারের সদস্যদের হামলায় নয়দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে প্রাণ হারিয়েছে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম। রোববার ১৮ ডিসেম্বর ভোর পাঁচটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৯ ডিসেম্বর বসত ভিটার জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন ভাই আরিফ উল্লাহ, আশরাফ আলী, ভাইয়ের স্ত্রী আছমা আক্তার, রাজিয়া বেগম, বাবা মোজাফ্ফর আহমদসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শাহ আলমের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে শাহ আলমের স্ত্রী আরেফা বেগম ও শিশু কন্যা মুন্নিও গুরুত্বর আহত হন। পরে লোকজন এগিয়ে এসে জখমি ওই তিনজনকে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

নিহত শাহ আলমের শ্যালক ছুরুত আলম বলেন, এই হামলা মধ্যযুগিয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নিজ পরিবারের হাতে যে কেউ খুন হয়! নাইক্ষ্যংছড়িতে তার প্রমান হলো। হামলাকারীরা আমার বোনকে আহত করে শ্লীলতাহানিও করে। এ ঘটনায় আমরা হতবাক। রোববার রাত সাড়ে নয়টায় নিজ গ্রামে শাহ আলমের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে এ ধরণের নেক্কারজনক ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কথিপয় প্রভাবশালী গ্রুপ নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আর এ নিয়ে সর্বত্র চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি তৌহিদ কবির বলেন, চট্টগ্রামেই শাহ আলমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এখনো বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত