শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি::
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)’র বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। ঈদ পরবর্তী চলমান দুর্যোগ কালীন সময়ে পিআইও’র অফিস ফাঁকির ঘটনায় ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেছেন খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সম্প্রতি ইউএনও এএসএম শাহেদুল ইসলাম সরেজমিনে পিআইও অফিস পরির্দশনে গেলে অফিস কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এসময় বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের ক্ষোভের কথা জানান তিনি।
বিশ^স্থ সূত্রে জানা গেছে, গত পাচঁ মাস পূর্বে নাইক্ষ্যংছড়ি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন আবিদ খান। এর পর থেকে তিনি দায়সারা ভাবে অফিস চালিয়ে আসছিলেন। প্রায়স তিনি সাপ্তাহিক ছুটির পরদিন রবি ও সোমবার পর্যন্ত অফিসে আসেন না। পরে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। ঈদে টানা ১০দিন ছুটি ভোগ করার পরও পিআইও এই সংবাদ লিখা কালীন পর্যন্ত তাঁর দপ্তরে হাজির হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার এক ঠিকাদার জানান- বর্তমান পিআইও যোগদানের পর থেকে অফিস কার্যক্রমে গতিশীলতা কমেছে। এছাড়াও পিআইও আবিদ খান তাঁর পার্সেন্টের অর্থ না পেলে জনপ্রতিনিধিসহ ঠিকাদারদের হয়রাণির অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, বুধবার (১৩জুলাই) পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবিদ খান ছুটিতে আছেন বলে জানান। তবে অফিসে অন্যান্য কর্মচারীদের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
পিআইও’র অফিস ফাঁকির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম শাহেদুল ইসলাম জানান- পিআইও আবিদ খান ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত আছেন বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। ঈদের পূর্বে ভিজিএফ বিতরণ, হাতির আক্রমণে শিশুর মৃত্যুসহ চলমান বর্ষার দুর্যোগ কালীন সময়ে পিআইও অফিসে না থাকার বিষয়টি খুবই দু:খজনক বলে তিনি জানান।