ঢাকা মহানগর হাকিম শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল রোববার। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ৩১ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেন বিচারক।
রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে নারী চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিককে গলা কেটে হত্যার মামলায় ‘প্রেমিক’ মো. রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে গেছে। আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩১ অক্টোবর নতুন দিন ঠিক করেছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল রোববার। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন তারিখ ধার্য করেন বিচারক।
এর আগে ১৩ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তি দেন আসামি রেজাউল করিম রেজা। তিনি নিজেকে জান্নাতুলের স্বামী হিসেবে দাবি করেছেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম রশিদুল আলম ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রেজাউলকে ১১ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতুলকে হত্যার বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। পুলিশ আসামির রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ জব্দ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকের সঙ্গে রেজাউলের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের অক্টোবরে তারা গোপনে বিয়ে করেন।
পরিবারের অমতে বিয়ে করায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন। রেজাউলের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় তা নিয়ে ঝগড়া হয় দুজনের। এরই সূত্রে রেজাউল সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জান্নাতুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
জান্নাতুলকে তার জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে ১০ আগস্ট পান্থপথের ‘ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান রেজাউল। সেখানে থাকা অবস্থায় রেজাউলের সঙ্গে জান্নাতুলের তর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়। রেজাউল ব্যাগে থাকা ছুরি বের করে জান্নাতুলের শরীরে একাধিক আঘাত করেন। একপর্যায়ে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।
হোটেলের তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে জান্নাতুলের মরদেহ উদ্ধারের পর কলাবাগান থানায় মামলা হয়। জান্নাতুলের বাবা শফিকুল আলম মামলা করেন
পাঠকের মতামত