রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য চীনকে সঙ্গে নিয়ে জোর প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে তিনপক্ষের। পাইলট প্রকল্পের অধীনে ১ হাজার ১৭৬ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। এখন রোহিঙ্গারা দাবি করছে, নিজ গ্রামে ফেরত যাওয়ার। অন্যদিকে মিয়ানমার বলছে, তারা যে বাড়ি তৈরি করেছে সেখানে যেতে। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে প্রতি বছর রোহিঙ্গাদের জন্য ১৯০ কোটি ডলার খরচ করতে হচ্ছে।
সোমবার (২৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ’মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেছে। এখন কেউ কেউ যেতে চায় এবং কেউ কিছু দাবি তুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের দাবি হলো নিজেদের বাড়িতে যেতে চায়, নিজেদের গ্রামে যেতে চায়। অন্যদিকে মিয়ানমার বলছে তারা কিছু ঘরবাড়ি বানিয়েছে, সেখানে রাখতে চায়।’
তিনি আরও জানান, প্রতি বছর রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের ১৯০ কোটি ডলার খরচ হচ্ছে। তাছাড়া তাদের জন্য আমরা অনেক অবকাঠামো তৈরি করেছি। আমরা চাই তারা ফেরত যাক।
চীনের মধ্যস্থতা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছে চীন। ওই দেশের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং-য়ের সফরের সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি মূলত এসেছিলেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার জন্য। আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে বিভিন্নভাবে প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছি।
মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব আছে এবং সে কারণে প্রত্যাবাসন এখনও শুরু করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
তহবিল ঘাটতি
বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। সম্প্রতি অন্য একটি সমস্যা হয়েছে এবং সেটি হচ্ছে তাদের জন্য তহবিল কমে গেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে যুক্তরাজ্য ১২৬ মিলিয়ন ডলার দিতো। কিন্তু এখন তারা জাতিসংঘকে ৫.৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। রোহিঙ্গারা ফেরত গেলে তাদের জন্য ভালো হবে, কারণ তাদের জন্য অর্থ কমে আসছে। বাংলাদেশ কোনও ধনী দেশ না যে তাদেরকে টাকা দেবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণের চাকরি বাজার সংকুচিত হয়ে আসছে রোহিঙ্গাদের জন্য। এর ফলে স্থানীয় জনগণ তাদের ওপর অসন্তুষ্ঠ হবে। সেই কারণে তাদের ফেরত যাওয়া দরকার। সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন
পাঠকের মতামত