প্রত্যাবাসন নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও দ্রুত তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিশ্চিতকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১০টায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় সাধারণ রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পের চার মোয়া নামক এলাকায় প্রায় দশ হাজার রোহিঙ্গার অংশগ্রহণে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে রোহিঙ্গা তারানার (গান) মাধ্যমে শুরু হয় সমাবেশ।
সাধারণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী সৈয়দউল্লাহ বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের দেশ, অনতিবিলম্বে আমাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে প্রত্যাবাসন সফল করতে দেশটির পাশে থাকতে হবে।’
প্রত্যাবাসনে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন মহল থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল চায় না আমরা দেশে ফিরে যাই, আমরা তাদের অনুরোধ করছি দয়া করে প্রত্যাবাসনে বাধা দেবেন না।’
জাতিসংঘের দ্বৈত নীতির নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে বলা হয়, রেশন কমিয়ে দেয়া, প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুকদের রেশন বন্ধ করা রহস্যজনক। রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে মরিয়া। সে কারণে নাগরিকত্ব দিয়ে দ্রুত প্রত্যাবাসন জরুরি।
বৃহস্পতিবার একযোগে টেকনাফের লম্বাশিয়া চৌরাস্তার মাথা (ক্যাম্প ১ ইস্ট এবং ওয়েস্ট), ক্যাম্প ৪ এর সাত রাস্তার মাথা , ক্যাম্প-৫ এর নিচে ঢালে, ক্যাম্প-৯ এর পোড়া বাজারের মাঠে, ক্যাম্প-১১ মরাগাছ তলায়, ক্যাম্প-১৩ এর সি আই সি অফিসের পেছনে খেলার মাঠ, ক্যাম্প-১৯ এর সিআইসি অফিসের সামনে, ক্যাম্প-১৫ এর সিআইসি অফিসের পাশে, ক্যাম্প-২০ এর সিআইসি অফিসের সামনে, ক্যাম্প-১৮ এর সিআইসি অফিসের সামনের রাস্তায়, ক্যাম্প-২৪ এর সিআইসি অফিসের সামনে, ক্যাম্প-২৬ এর সিআইসি অফিসের সামনে, ক্যাম্প-২৭ এর সিআইসি অফিসের সামনে উল্লিখিত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
লম্বাশিয়া চৌরাস্তার মাথার সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, রোহিঙ্গা নেতা ডা. জুবায়ের, মাস্টার কামাল, মৌলভী নুর হোসেইন, মৌলভী ছৈয়দ উল্লাহ, মাস্টার শামসুল আলম প্রমুখ। ক্যাম্প ৪-এর সাত রাস্তার মাথার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আবদুল গফুর, রশিদ মিয়া। ক্যাম্প -৯ এর পোড়া বাজারের মাঠের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মান্নান হোসেন, রফিক উল্লাহসহ আরও অনেকে।
পাঠকের মতামত