ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সক্রিয় থাকেন তিনি। কখনো পোস্ট দেন তার অনুষ্ঠানের ছবি। কখনো মায়ের সঙ্গে ছবি তুলে হৃদয় ছোঁয়া ক্যাপশন লিখে দেন। কখনো থাকে সামাজিক সচেতনতামূলক কথা। এবার রান্না করার ছবি দিলেন তার ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে।
রান্নার একটি ছবি দিয়ে ক্যাপশনে পলক লেখেন, ‘কণিকার তত্ত্বাবধানে অনেকদিন পর নিজ হাতে সবজি রান্নার চেষ্টা। ঘরের কাজে হাত লাগানোতে লজ্জার কিছু নাই। বরং, সবারই ঘরের কাজে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা উচিত।’
পোস্টটি দেয়ার পর অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন। প্রশংসামূলক মন্তব্য করেছেন অনেকে। তনময় মজুমদান নামের একজন লিখেছেন, ‘অনেকেই আছেন যারা ঘরের মধ্যে যে আমাদের মা, বোন, স্ত্রী এরা যে কাজগুলো করে তাকে তেমন মূল্যায়ন করে না এবং তাদের কাজে সহযোগিতা করে না। তারা আপনাকে দেখে অন্তত অনুপ্রাণিত হতে পারবে।’
মাহমুদ হাসান সাকিল লেখেন, ‘কাজ লজ্জার বিয়ষ হতে পারে না। মেয়েরা মা, বোন ও বৌ তারা যদি আমাদের রান্না করে খাওতে পারে তা হলে আমরা ও আমাদের নিজেদের সময় মত তাদের রান্না করে খাওতে পারি।’
হারুনুর রসিদ নামে একজন লিখেছেন, ‘প্রিয় পলক ভাইয়া, আমার ৩৫ বছরের ছোট্ট জীবনে যেই কজন নেতা, বড় ভাই, বড় সরকারি অফিসার, ভিআইপি দেখেছি তাদের সবার থেকে আপনাকে দেখি একটু অন্যভাবে। এই লেখাটুকু যদি পরে থাকেন তাহলে বলবো দিন দিন আপনি আমার অনুকরণীয় হয়ে যাচ্ছেন। অতি সাদামাটা জীবনটাও যে কতটা সুন্দর করে দেখান যায়, তা বোধহয় আপনার থেকে আর কেউ ভালো জানে না। আপনার রান্না করা খাবারগুলো খেতে যাই লাগুক মানুষ হিসেবে আপনি যে অনেকের থেকেও উঁচু মানের ও মনের সেটি ভাবি নিশ্চয়ই জানে। দোআ করি সবার হৃদয় গুলো ছুঁয়ে থাকেন এভাবেই ‘।
আলি হোসাইন লিখেছেন, আপনার এই পোস্টটি দেখে যদি একটি ভাবিও তার স্বামীর কাছ থেকে এতটুকও সাহায্য পায় তাহলে আপনাকে তারা মনথেকে দোয়া করবে।’
মফিজুল ইসলাম একজন লিখেছেন, ‘পলক ভাইয়া, আমাদের বাংলাদেশ ছেলেরা রান্না করা খুব একটা পছন্দ করে না, আর আপনি নিজ হাতে রান্না করছেন দেখে খুব ভাল লাগলো। আমি চাই আমাদের দেশে মেয়েদের পাশাপাশি সময় পেলে ছেলেরাও রান্না করুক। এতে আমার মনে হয় দেশের অবনতি হবে না বরং উন্নতি হবে।’
এর আগে পলকের রিকশা চালানোর ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে যাত্রীর আসনে বসেছিলেন রিকশাচালক। আর চালকের আসনে ছিলেন পলক। গত মে দিবসের ছবি ছিল সেটা। সেখানে ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘যাত্রীর আসনে যিনি বসে আছেন, গতকালও তিনি ছিলেন ভাড়ায় চালিত একজন রিকশা শ্রমিক। আজ সকাল থেকে তিনি নিজেই একটি রিকশার মালিক।’
পলক লেখেন, ‘গত আট বছর থেকে প্রতিবছর ১ মে আমরা চেষ্টা করি অন্ততপক্ষে কয়েকজন শ্রমিককে মালিকে রূপান্তর করার। সেই ধারাবাহিকতায় আজও মে দিবস উপলক্ষে ১০ জন রিকশা শ্রমিককে একটি করে রিকশা প্রদানের মাধ্যমে মালিকে রূপান্তর করা হলো।’
জুনাইদ আহমেদ পলক ১৯৮০ সালের ১৭ মে নাটোর জেলার সিংডা উপজেলার সেরকোল তেলিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়েজ উদ্দিন এবং মায়ের নাম জামিলা আহমেদ। জুনাইদ আহমেদ পলক ১৯৮০ সালের ১৭ মে নাটোর জেলার সিংডা উপজেলার সেরকোল তেলিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়েজ উদ্দিন এবং মায়ের নাম জামিলা আহমেদ। স্ত্রী আরিফা জেসমিন কণিকা। এ দম্পতির তিন সন্তান। তারা হলো অপূর্ণ জুনাইদ, অর্জুন জুনাইদ এবং অনির্বান জুনাইদ।
-