বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে আকাশ ঢাকা ছিল মেঘে। ফলে সারা দিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। এছাড়া দুপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সাথে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস শীতের উপস্থিতি জানান দেয়।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নিম্নচাপ কেটে গেলে শীত বাড়বে। তবে চট্টগ্রাম শহর সমুদ্র উপকূলবর্তী বলে এখানে শীতের মাত্রা অন্য এলাকার চেয়ে কম হবে। দেশের উত্তরাঞ্চলে শীত অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রামের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর–উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গতকাল সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমদ্রবন্দর থেকে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০০ কিলোমিটার দক্ষিণ–দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ–দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, গভীর নিম্নচাপ কেটে গেলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের মাত্রা বাড়বে। তবে চট্টগ্রাম শহর সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এখানে শীতের মাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। এবার ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে আসতে পারে। তবে আমাদের দেশের মানুষ যেহেতু শীতে অভ্যস্ত নয়, তাই এটিও খুব বেশি অনুভূত হতে পারে।
এদিকে গতকাল চট্টগ্রাম জুড়ে ছিল শীতের আমেজ। সকাল থেকে সূর্য দেখা যায়নি। মানুষকে গরম কাপড় ও চাদর গায়ে দিয়ে বের হতে দেখা গেছে। দুপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় অনেকে ছাতা নিয়ে বের হন।