প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার কক্সবাজারে নব নির্মিত আইকনিক স্টেশনে রেলপথ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। তার সফর ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে কক্সবাজার।
পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে পুরো শহরজুড়ে তৈরি করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী। পাশাপাশি তৎপর রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এদিকে আগামীকাল (১১নভেম্বর) হেলিকপ্টারে করে ঝিনুকের শহরে পৌঁছে ‘স্বপ্নের ট্রেন’ লাইন উদ্বোধন করবেন।
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়ায় ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেল স্টেশনে টিকিট কেটে রেলে চড়বেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যদিয়েই উদ্বোধন হবে বহুল প্রত্যাশিত রেললাইনটির।
ওই দিন বেলা আড়াইটায় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী আওয়ামী লীগের দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।
এদিকে সরকার প্রধানের আগমণ ঘিরে পুরো শহরে চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের নিয়মিত রাত্রিকালীন টহলও আরো জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জনসভাকে ঘিরে সভাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন সংযোগ সড়কে যানবাহন চলাচলে বিভিন্ন নির্দেশনাও দিয়েছে জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রেললাইন উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন আসবেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাচলের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং জনসভা নির্বিঘ্ন ও শৃঙ্খলার লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর ঘিরে কক্সবাজারে সকল প্রকার বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীন ইমরান।
তিনি বলেন, জেলার আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার মধ্যে রেলসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত