পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আজ শনিবার নির্বাচনী সহিংসতায় জামালপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জামালপুরে এক কিশোরসহ চারজন, নোয়াখালীতে এক বৃদ্ধ, চট্টগ্রামে এক সদস্য প্রার্থী ও কুমিল্লায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু হয়। এ সময় ভোটকেন্দ্র দখল, জালভোট প্রদান, ব্যালট পেপার ছিনতাই, সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। কুমিল্লা : কুমিল্লার তিতাসে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল উদ্দিন নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের নাগেরছার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জামালপুর : জেলার দেওয়ানগঞ্জে দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত ও দুই পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কুতুবেরচর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান (২৫), একই গ্রামের আজমত আলীর ছেলে নবীরুল ইসলাম (১৬), শেখপাড়া গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে মাজেদ আলী (১৫) ও একই গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৫)। চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে মো. ইয়াছিন (৪২) নামে এক ইউপি সদস্য প্রার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। কর্ণফুলী এলাকার বড় উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর বাজারে দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নোয়াখালী : জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সৈয়দ আহমদ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। উপজেলার ৬ নম্বর রাজগঞ্জ ইউনিয়নে কেন্দ্র দখলের সময় সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। পঞ্চম ধাপের এ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২৫৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ হাজারের বেশি ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭ হাজারের বেশি প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪২ জন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরা সবাই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে ১৫টি রাজনৈতিক দলের ১ হাজার ৭২৭ জন এবং স্বতন্ত্র ১ হাজার ৫২২ জন প্রার্থী। দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থীত প্রার্থী আছে ৭২৬ ইউপিতে, ৬২৯ ইউপিতে রয়েছে বিএনপির প্রার্থী। জাতীয় পার্টি ১৭৭টি, জাসদ ২১টি, বিকল্পধারা ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১৩টি, ইসলামী আন্দোলন ১২২টি, জেপি ২টি, ইসলামী ফ্রন্ট ১১টি, এলডিপি ৬টি, সিপিবি ৫টি, জেএসডি ১টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৬টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৭টি এবং অপর একটি দল ১ ইউপিতে প্রার্থী দিয়েছে।