জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের বারবার নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার পরেও আচরন বিধি লঙ্গন করছেন কয়েক জন প্রার্থী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে ১৪নং ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী এড. খাইরুল আমিনের বিরুদ্ধে। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার অধিকাংশ স্থানে আচরন বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মসজিদের দেয়ালেও পোস্টার লাগিয়ে নির্বিঘ্নে প্রচারনা চালাচ্ছেন এই প্রার্থী। হোয়াইক্ষংয়ের আবুল বশর জানান, হোয়াইক্ষ্যং স্টেশনের অধিকাংশ স্থানে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সাধারন সদস্য পদে ১৪নং ওয়ার্ডের প্রার্থী এড. খাইরুল আমিনের টিউবওয়েল মার্কার পোস্টারে ছেয়ে গেছে। অপর প্রার্থী তালা মার্কার হুমায়ুন কবির চৌধুরী রশি দিয়ে পোস্টার টাঙ্গালেও খাইরুল আমিন তা করেননি। উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী হাসপাতালের দেয়ালেও খাইরুল আমিনের পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
মনখালীর ওয়াহিদুর রহমান রুবেল জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন শুধু কক্সবাজার শহর কেন্দ্রিক আচরন বিধি লঙ্গন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও ১৪নং ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী প্রতিনিয়ত আচরন বিধি লঙ্গন করে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
উখিয়ার রত্নাপালং ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রত্যেক প্রার্থীর উচিত নির্বাচন কমিশনের আচরন বিধি মেনে চলা। তিনি আশা প্রকাশ করেন যারা আচরন বিধি লঙ্গন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম জানান, তার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে দেয়ালে জেলা পরিষদ নির্বাচনের পোস্টার দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশনের আচরন বিধির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তিনি প্রার্থীদের পোস্টার গুলো সরিয়ে ফেলার আহবান জানান।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানিয়েছেন, নির্বাচন আচরন বিধি লঙ্গনের অভিযোগে ইতিমধ্যে ৫ প্রার্থীকে জরিমানা করেছে। অন্য প্রার্থী যারা আচরন বিধি লঙ্গন করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।সুত্র: সিবিএন