পাহাড় কর্তনকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দায়ী সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। অতীতে সংঘটিত এ জাতীয় ঘটনারও বিচার হবে। আগামীতে যেন এ রকম ঘটনা না ঘটে, তার জন্য একটা বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কক্সবাজারে দুষ্কৃতকারীদের মিনি ট্রাকের (ডাম্পার) চাপায় নিহত বন বিভাগের বিট অফিসার সাজ্জাদুজ্জামান সজলের পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তরকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাজ্জাদুজ্জামানের বাবার কাছে মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে চেক ও নগদে ১৫ লাখ টাকা হস্তান্তর করেন পরিবেশমন্ত্রী। পরে নিহত বিট অফিসারের কবর জিয়ারত করে তিনি জানান, বন কর্মকর্তার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হলে তিনি শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পরিবেশমন্ত্রী সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারকে নগদ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেন। এবং প্রধান বন সংরক্ষক দপ্তর থেকে সারা দেশের বন কর্মকর্তা-কর্মচারীর এক দিনের বেতনের ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন।
এ সময় প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরী, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক জাহেদুল কবির, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, বন সংরক্ষক আর এস এম মুনিরুল ইসলাম, বন সংরক্ষক প্রশাসন আবদুল আউয়াল, পরিবেশ বন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদুল, বাংলাদেশ ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আমিরুল হাছানসহ মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত