অবকাঠামো, রেললাইন ও স্টেশন নির্মাণ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই উদ্বোধন হতে চলেছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প। উদ্বোধন ঘিরে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ট্রায়ালরান। প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই থেকে তিন মাস পর ট্রেন চালু হলেও পুরোদমে সেবা দিতে লাগবে কমপক্ষে এক বছর।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে সেতু-কালভার্ট নির্মাণ শেষ। তবে শেষ হয়নি ৫টি স্টেশনসহ কক্সবাজারে রেল স্টেশনের কাজ। স্টেশনগুলোতে বসানো হয়নি বিকল্প রেললাইন। এখনো প্রস্তুত নয় বেশিরভাগ লেভেল ক্রসিংও। এ অবস্থায় আগামী ১২ নভেম্বর এই প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ঠিক করা হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমিত পরিসরেই ট্রেন চালু করতে চান তাঁরা।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু উদ্বোধন একটু এগিয়ে নিয়ে এসেছে, সেহেতু প্রত্যেকটি স্টেশনে আমরা দুইটি রেললাইন করব। বাকিগুলো আপাতত করছি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রেন চলাচলের জন্য যতটুকু প্রয়োজন এই সময়ের মধ্যে ততটুকু কাজ শেষ করতে পারব। এ মাসে ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ হবে।’
উদ্বোধন ঘিরে ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ট্রায়ালরান। এদিকে মেরামতের মধ্যে থাকা কালুরঘাট সেতুর কাজ কবে শেষ হবে তাও স্পষ্ট নয়। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন পুরোপুরি প্রস্তুতের পরই চলবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘এক বছর গ্রেস প্রিয়ড থাকে। এ সময়ের মধ্যে কোনো ডিফেক্ট ও অন্যান্য কাজগুলোর সমস্যা দেখা দিলে সেগুলো মেরামত করা যায়। আমার মনে হয়, ডিফেক্ট প্রিয়ডসহ সময়টুকু আছে। কাজেই আমাদের প্রজেক্টটি পূর্ণাঙ্গভাবে আমরা শেষ করতে পারব।’
উল্লেখ্য, এক শ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। ২০১০ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২২ এর জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও এক বছর।
পাঠকের মতামত