ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে এসে নীলফামারীতে গ্রেপ্তার হলেন চার রোহিঙ্গা যুবক। আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
নীলফামারী সদর থানা–পুলিশের পরিদর্শক এম আর সাঈদ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা চার যুবকের বিরুদ্ধে রাতে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন–কক্সবাজার উখিয়া জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সাব ব্লক-এফ/ ১৫ এর মো. আবুল হাসেমের ছেলে মো. আমজাদ (২৪), একই উপজেলার কুতুবপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক-জি/ ২ এর মৃত করিমুল্লাহর ছেলে মো. আরাফাত নূর (২৪), উখিয়া বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮-ই ব্লক-বি/ ২৭ এর বাসিন্দা গুলই হোসাইনের ছেলে আনছ ওরফে আনোজ ওরফে আরোশ (২৪) এবং উখিয়া পূর্বদরহাবিল গ্রামের নাজির হোসেনের ছেলে হাফিজ উল্লাহ্ (২৫)। তিনি ওই গ্রামের এক নারীকে বিয়ে করে সেখানে বসবাস করেন।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সামসুল আযম আজকের পত্রিকাকে জানান, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য গত সোমবার ওই চার যুবক তার কার্যালয়ে আসেন। তারা সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের মহব্বত বাজিতপাড়া (ভোটার এলাকার কোড নম্বর-০৩১৬) গ্রামে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন।
তাদের জন্ম নিবন্ধন ও পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সংযুক্ত সকল কাগজপত্র ভুয়া। প্রত্যেকেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা নাগরিক এবং কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে স্বীকার করেন।
তিনি আরও জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি করতে এসেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে চট্টগ্রামের নূর মোহাম্মদ ও সদর উপজেলার দক্ষিণ পঞ্চপুকুর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের মাধ্যমে এই কার্যালয়ে আসেন বলে জানান। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাতে তাদের নামে থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পাঠকের মতামত