ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় গত বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার বিষয়ে মুখ খুলেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, টিএসসি এলাকায় নুরের ওপর হামলার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। এতে ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়ের কর্মীও যদি তাতে জড়িত থাকে, তাহলে সেটা আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ‘নুরের ওপর হামলার’ বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শুরুটা সেই কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। তখন থেকেই হামলা, মামলা, নির্যাতন যেন পিছু ছাড়ছে না ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের। ২০১৮ সালে ডাকসু’র নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে থাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক হামলার শিকার হন নুরুল হক নুর। প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রেই অভিযোগ আসে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। তবে ছাত্রলীগ বার বারই তা অস্বীকার করে। গত ৫ বছরে অন্তত ২৫ বার হামলার শিকার হয়েছেন নুর। এতে বেশ কয়েকবার গুরুতর আহত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তবে হামলা হলেও কখনো মামলা হয়নি।
মামলা করতে থানায় গেলেও মামলা আমলে নেয়া হয়নি। উল্টো নুরের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মারধরের পর অনেকবার থানায় অভিযোগ নিলেও তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ। কাউকে কখনো গ্রেপ্তারও করা হয়নি। অনেকে বলছেন, নুরের ওপর এই হামলা যেন দায়মুক্তির। দেশের একজন নাগরিক এভাবে বার বার হামলার শিকার হচ্ছেন কিন্তু কোনো বিচার হচ্ছে না।
এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, যখনই নুর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ান, তার আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সংগঠনের টাকায় নিজের ব্যাংক-ব্যালান্স নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে, বিকাশে টাকা নেওয়া অথবা প্রবাসী অধিকার পরিষদের মাধ্যমে অর্থ নেওয়া– প্রভৃতি বিষয় ঘটে, তার ইমেজ সংকট তৈরি হয়, তখনই মার খাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমি মনে করি, এ বিষয়গুলো বিচার-বিশ্লেষণযোগ্য।
প্রসঙ্গত, গেল বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাশে হামলার শিকার হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। হামলাকারী সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ ওঠে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ছাত্রলীগের হামলায় আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় মির্জা ফখরুল তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন