চট্টগ্রামে আদালতে সংঘর্ষ ও আইনজীবী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২৭
চট্টগ্রামে আদালতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও আইনজীবী নিহতের ঘটনায় ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ...
রুমিন ফারহানা
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যেরা। আজ রোববার জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে স্পিকারের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপি দলীয় পাঁচ সংসদ সদস্য। এ সময় স্পিকার কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন থেকে সদ্য পদত্যাগ করা রুমিন ফারহানা।
পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে স্পিকার কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের রুমিন ফারহানা বলেন, ‘স্পিকার কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সবকিছু সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে’ তিনি বলেন, এখন দেশে চরম স্বৈরশাসন চলছে। গণতন্ত্রের নামে দমনপীড়ন চলছে। সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
স্পিকারের কাছে সশরীর পদত্যাগপত্র দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের জি এম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত আসনের রুমিন ফারহানা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ বিদেশে থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সশরীর পদত্যাগপত্র দেননি। এই সংসদের মেয়াদ এক বছরের বেশি সময় বাকি আছে।
সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
গতকাল শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করে। সেখানে বিএনপি ১০ দফা দাবি তুলে ধরে। তার মধ্যে ছিল জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। ওই গণসমাবেশে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য। এরপরই আজ সকালে সশরীর স্পিকারের কাছে গিয়ে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য।
একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসহ ৩৫০টি আসনের মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য রয়েছেন সাতজন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ছয়জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে দলটির সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দেয়। বগুড়া–৬ আসন থেকে নির্বাচিত মির্জা ফখরুল ছাড়া বাকি পাঁচজন তখন শপথ নেন। নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সেখানে নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী জি এম সিরাজ। সুত্র: প্রথম আলো
পাঠকের মতামত